পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) কাঠামোয় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বুধবার জিএসটি কাউন্সিলের প্রথম দিনের বৈঠকের শেষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, এ বার থেকে দুটি হারে (৫ এবং ১৮ শতাংশ) জিএসটি কার্যকর হবে। মাত্র কয়েকটি ক্ষেত্রে থাকবে ৪০ শতাংশ কর। সেগুলিকে ‘পাপের সামগ্রী’ বলেছেন নির্মলা। কিন্তু বিলাসবহুল গাড়ি, তামাকজাত দ্রব্যের পাশাপাশি সেই তালিকায় রয়েছে মাঝারি ও বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরবাইকও!
জীবনবিমা এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিমায় পুরোপুরি মকুব হবে জিএসটি। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর (ঘটনাচক্রে সে দিন নবরাত্রি) থেকে নতুন হারে জিএসটি প্রযুক্ত হবে বলেও জানান তিনি। তাঁর দাবি কয়েকটি নির্দিষ্ট ব্যতিক্রম (বিলাসসামগ্রী, নরম পানীয়, সিগারেট, গুটকা-পানমশলার মতো দ্রব্য) ছাড়া আর কোনও ক্ষেত্রেই ৪০ শতাংশ জিএসটি থাকছে না। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে জিএসটি চালুর পর থেকে তাতে পাঁচটি (৫, ১২, ১৮, ২৮ এবং কিছু পণ্যে শূন্য) হার ছিল এতদিন পর্যন্ত। এ বার ১২ এবং ২৮ শতাংশ জিএসটি উঠে গেল।
সরকারি সূত্রের খবর, নতুন ব্যবস্থায় ৩৩টি জীবনদায়ী ওষুধ (যার মধ্যে ক্যানসারের তিনটি ওষুধও রয়েছে)-সহ ১৭৫টি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমবে। প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে দিল্লিতে শুরু হয়েছে জিএসটি কাউন্সিলের দু’দিনের বৈঠক। পণ্য ও পরিষেবা করের কাঠামোয় সংস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যোগী হয়েছে বলে স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বার্তা দিয়েছিলেন, আগামী দীপাবলির মধ্যে দেশবাসীকে নতুন প্রজন্মের জিএসটি ব্যবস্থা উপহার দেবেন। ব্যক্তিগত জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমা থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের পথে কেন্দ্র এগোতে শুরু করেছে বলে। বস্তুত, বিমার উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে বছরখানেক আগেই সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার সেই পথেই হাঁটল মোদী সরকার।