প্রথম এক দিনের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৭ উইকেটে হেরে গেল ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে হ্যারি ব্রুকদের ইনিংস শেষ হয় ১৩১ রানে। জবাবে ২০.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩৭ রান টেম্বা বাভুমাদের।
ঘরের মাঠে এক দিনের সিরিজ়ের প্রথম ম্যাচেই ভরাডুবি ইংরেজদের। দিনরাতের ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক। লিডসের ২২ গজে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না ইংল্যান্ড। ওপেনার জেমি স্মিথ ছাড়া কেউ ব্যাট হাতে লড়াই করতে পারলেন না। ইংল্যান্ডের সাত জন ব্যাটার দু’অঙ্কের রানও করতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের সামনে ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারায় আয়োজকেরা। ১০টি চারের সাহায্যে স্মিথের ৪৮ বলে ৫৪ রানের পর ইংল্যান্ডের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান জস বাটলারের ২৪ বলে ১৫। জো রুট করেন ১৭ বলে ১৪। অধিনায়ক ব্রুকের ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ বলে ১২ রানের ইনিংস।
কেশব মহারাজ এবং উইয়ান মুলডারের দাপটে ২৪.৩ ওভারেই শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। মহারাজ ২২ রানে ৪ উইকেট নেন। ৩৩ রানে ৩ উইকেট মুলডারের। এছাড়া লুঙ্গি এনগিডি ২০ রানে ১টি এবং নান্দ্রে বার্গার ২৮ রানে ১টি উইকেট নিয়েছেন।
জয়ের জন্য ১৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম উইকেটের জুটিতেই ১৮.১ ওভারে ১২১ রান তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এডেন মার্করাম এবং রায়ান রিকেলটনের আগ্রাসী ব্যাটিং ইংল্যান্ডের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেয়। মার্করাম ১৩টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে ৫৫ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি আউট হওয়ার পর বাভুমা (৬) এবং ট্রিস্টান স্টাবস (শূন্য) পর পর আউট হলেও সমস্যায় পড়েনি সফরকারীরা। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রিকেলটন। তিনি ৫৯ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ২২ গজে ছিলেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস (৬)।
ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে উইকেট পেয়েছেন শুধু আদিল রশিদ। তিনিই একমাত্র খানিকটা চাপে রেখেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের। ২৬ রানে ৩ উইকেট রশিদের। তিন ম্যাচের সিরিজ়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকল দক্ষিণ আফ্রিকা।