গত ৩ জুন প্রথম বারের মতো আইপিএল জিতেছিল বেঙ্গালুরু। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অবশ্য সেই আনন্দ বদলে গিয়েছিল হতাশায়। বেঙ্গালুরু ফিরে ট্রফি নিয়ে উৎসব করার সময় বিরাট কোহলিদের দেখার হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয় ১১ জনের। ওই দিনের পর থেকে নীরব ছিল কোহলির দলের সমাজমাধ্যম অ্যাকাউন্ট। তিন মাস পর অবশেষে বৃহস্পতিবার প্রথম বার পোস্ট করল তারা।
বেঙ্গালুরুর তরফে পোস্ট করে হয়, “এই নীরবতা অনুপস্থিতি নয়, শোকের জন্য ছিল। এই অ্যাকাউন্ট এক সময়ে আনন্দ, স্মৃতিতে এবং মুহূর্তে পরিপূর্ণ ছিল যা আপনারা সকলে উপভোগ করতেন। কিন্তু ৪ জুন সব বদলে দিয়েছে। ওই দিনটা আমাদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। এই নীরবতা ছিল নিজেদের সামলে নেওয়ার।”
তারা আরও লিখেছে, “এই নীরবতার মধ্যে আমরা শোকপালন করেছি, শুনেছি, বুঝেছি। ধীরে ধীরে আমরা এমন কিছু গড়ে তুলেছি যা শুধু একটা প্রতিক্রিয়া নয়, যাকে আমরা সত্যিই বিশ্বাস করি। এ ভাবেই ‘আরসিবি কেয়ার্স’ জীবন পেয়েছে। সমর্থন সম্মান জানাতে এই প্রয়াস খুব দরকার ছিল। একটা মঞ্চ যা থাকবে শুধু আমাদের সমর্থকদের জন্য। আজ আমরা আবার ফিরলাম। উচ্ছ্বাস নয়, যত্ন নিয়ে। আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে, পাশে দাঁড়াতে, একসঙ্গে এগিয়ে যেতে।”
ওই ঘটনার দিন পাশে থাকার একটি বার্তা দেওয়ার পর বেঙ্গালুরুর সকল সমাজমাধ্যম অ্যাকাউন্ট পুরোপুরি নীরব হয়ে যায়। সাধারণত আইপিএল না থাকলেও আইপিএলের বাকি দলগুলির অ্যাকাউন্টে নিয়মিত কিছু না কিছু পোস্ট হতে থাকে। সেখানে ভারতের খেলা, বিদেশের খেলা বা দলের কোনও খেলোয়াড়ের উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স থাকে। কিন্তু আরসিবি কিছুই করেনি।
ওই ঘটনার পরেই বেঙ্গালুরুতে ম্যাচ আয়োজনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সম্প্রতি মহিলা বিশ্বকাপের ম্যাচ বেঙ্গালুরু থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়েছে। কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তারা ইস্তফা দিয়েছেন। পুলিশকর্তাদেরও বদলি করা হয়েছে।