হরিরামপুরে সিভিক ভলেন্টিয়ার খুনে চাঞ্চল্য, স্ত্রী ও প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। প্রায় ছয় মাস আগে হরিরামপুর থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার মিনারুল ইসলামের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে ফের শোরগোল পড়েছে এলাকায়। গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ রাতে ডিউটিতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হন মিনারুল।
পরের দিন অর্থাৎ ২৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে বাড়ি থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার করে পুলিস। ঘটনার পর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বালুরঘাট হাসপাতালে।
মিনারুলের বাড়ি পুন্ডলী গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজরা পুকুর এলাকায়। মৃত্যুর পর থেকেই পরিবারের অভিযোগ ছিল এটি আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত খুন। পরিবারের দাবি অনুযায়ী, মিনারুলের স্ত্রী লাভলী আক্তার বানু (৩৪) এবং আকরামুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের কথা স্বামী জানতে পারায় তাকে পথে থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষা হয়। অভিযোগ, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ডিউটির নামে বেরোনোর সময় মিনারুলকে খুন করে লাভলী ও তার প্রেমিক।
গত ১৯ আগস্ট গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে পড়ে লাভলী আক্তার নাকি স্বীকারও করেন যে, প্রেমিকের সাহায্যেই স্বামীকে খুন করেছেন। এর পরপরই লাভলী ও আকরামুল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ঘটনাটি জানাজানি হতেই মৃত যুবকের পরিবার মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হয়। মৃতের ভাই আব্দুল রশিদের অভিযোগ, মূল অভিযুক্তদের পুলিশ এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি।
এদিকে, খবর চাউর হতেই লাভলী আক্তার বানু বর্তমানে বাড়িতে থাকলেও তার প্রেমিক আকরামুল ইসলাম বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় মহল। তাদের দাবি, প্রকৃত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।