ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনে সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আবার আত্মসমর্পণ মাওবাদী জঙ্গিদের। এ বার নারায়ণপুর জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার দুই মহিলা-সহ আত্মসমর্পণকারী আট জন মাওবাদীর মাথার মোট দাম ৩০ লক্ষ টাকা।
আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে রয়েছেন, সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র ডিভিশনাল কমিটির সদস্য সুখলাল এবং ১ নম্বর কোম্পানির কমান্ডার হুরা। এঁদের মাথার দাম ছিল আট লক্ষ টাকা করে। এই নিয়ে চলতি বছরে নারায়ণপুর জেলায় মোট ১৪৮ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করলেন বলে ছত্তীসগঢ় পুলিশ জানিয়েছে। বুধবার আত্মসমর্পণকারীদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে অর্থসাহায্য দেওয়া হয়েছে।
মাওবাদী নেতা-কর্মীদের মূল স্রোতে ফেরাতে গত বছর ছত্তীসগঢ় পুলিশ ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছিল। তার আগে ২০২০ সালের জুনে শুরু হয়েছিল ‘লোন ভারাতু’ (গোন্ড ভাষায় যার অর্থ ‘তোমার বাড়ি ফিরে যাও’) পুনর্বাসন কর্মসূচি।
ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই গত মার্চে ‘নকশাল আত্মসমর্পণ এবং আক্রান্তদের পুনর্বাসন নীতি ২০২৫’ ঘোষণা করেছিলেন। আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসন, চাকরি, আর্থিক সহায়তা এবং আইনি সুরক্ষা প্রদান করার মতো নানা বিষয় রয়েছে ওই প্রকল্পে। নতুন আত্মসমর্পণ নীতিতে মাওবাদী সংগঠনের রাজ্য কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর সদস্যদের মতো উচ্চপদস্থ ক্যাডারদের পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে।