ভারতীয় পণ্য আমেরিকার বাজারে যেতে না পারলে রাশিয়ার দরজা খোলা রয়েছে। রাশিয়ার কাছে ভারত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নয়াদিল্লির কাছে তেল বিক্রি করাও বন্ধ করবে না মস্কো। মার্কিন শুল্কযুদ্ধ ঘিরে কূটনৈতিক টানাপড়েনের মাঝে এমনটাই জানাল রাশিয়া। পাশাপাশি এ-ও জানানো হয়েছে, চলতি বছরের শেষেই ভারত সফরে আসবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। নয়াদিল্লিতে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে।
রাশিয়া থেকে ভারত তেল কেনায় নয়াদিল্লির উপর অসন্তুষ্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করার জন্য ভারতের উপর চড়া হারে শুল্ক চাপিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ভারতের সঙ্গে ব্যবসার লভ্যাংশ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করছে রাশিয়া। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের শুরু থেকেই বিরোধিতা করে আসছে ভারত। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক থেকে এ বিষয়ে বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। এই কূটনৈতিক টানাপড়েনের আবহে নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়াল মস্কোও।
ভারতে রুশ দূতাবাসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষেই ভারত সফরে আসবেন পুতিন। নয়াদিল্লিতে মোদীর সঙ্গে বৈঠকও করবেন তিনি। তবে ভারত সফরের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসার জন্য ভারতের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। আগামী ২৮ অগস্ট থেকে ওই বাড়তি শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা। এ অবস্থায় ভারতীয় পণ্যের জন্য রাশিয়ার দরজা খোলা রাখার বার্তা দিল মস্কো। রুশ দূতবাস জানিয়েছে, ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বছরে ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মস্কোর কাছে নয়াদিল্লি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানিয়েছে রুশ দূতাবাস।
বস্তুত, রাশিয়া থেকে তেল কেনা দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে ভারত এবং চিন। এ অবস্থায় নয়াদিল্লির পাশাপাশি বেজিঙের উদ্দেশেও বার্তা দিয়েছে রুশ দূতাবাস। তারা জানিয়েছে, শীঘ্রই ভারত, চিন এবং রাশিয়ার মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মস্কো, দিল্লি এবং বেজিঙের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাশিয়া।