ইস্টবেঙ্গল – ১ (আনোয়ার)
ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে প্রথম বার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ডায়মন্ড হারবার এফসি। কলকাতা ময়দানের নতুন শক্তির যাত্রা অব্যাহত থাকল দেশের প্রাচীনতম ফুটবল প্রতিযোগিতায়। ২-১ ব্যবধানে জিতে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে চলে গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব। ডার্বি জয়ের পর হার এড়াতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। শনিবার ফাইনালে ডায়মন্ড হারবারের প্রতিপক্ষ নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড।
সেমিফাইনালের প্রথমার্ধটা জুড়ে শুধু সুযোগ নষ্টের প্রদর্শনী দেখলেন যুবভারতীর দর্শকেরা। সমানে সমানে পাল্লা দিলেন ইস্টবেঙ্গল এবং ডায়মন্ড হারবারের ফুটবলারেরা। ২৪ মিনিটের মাথায় স্যামুয়েলের শট পোস্টে গেলে না ফিরলে এগিয়ে যেতে পারত ডায়মন্ড হারবার। ম্যাচের ২৫ সেকেন্ডের মধ্যেও এগিয়ে যেতে পারত কলকাতা ময়দানের নতুন শক্তি। শুরুতেই শিশুসুলভ ভুল করে বসে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স। ম্যাচের শুরুতেই আসলে ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
এ টুকু বাদ দিলে প্রথমার্ধে দাপট ছিল ইস্টবেঙ্গলেরই। শুরু থেকেই মাঝ মাঠের দখল নিয়ে নেন অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা। একের এক আক্রমণে ডায়মন্ড হারবারের ডিফেন্সকে ব্যস্ত রেখেছিলেন দিয়ামানতাকোস, মিগুয়েলরা। ডিফেন্স থেকে উঠে অতর্কিতে দূরপাল্লার শট নিচ্ছিলেন আনোয়ার আলি, সিবলেরাও। লাল-হলুদ ব্রিগেডের আগ্রাসী ফুটবলের সামনে অবশ্য গুটিয়ে ছিল না ডায়মন্ড হারবার। ডিফেন্স সামলে বেশ কয়েক বার প্রতি আক্রমণে উঠেছে তারা। তাতেই ফাঁক ফোকর তৈরি হয়েছে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার আরও বৃদ্ধি করে ইস্টবেঙ্গল। দিয়ামানতাকোস, বিপিন সিংহদের সহজ সুযোগ নষ্ট তাতেও বন্ধ হয়নি। ডায়মন্ড হারবারের গোলরক্ষক মিরশাদকে একাধিক বার একা পেয়েও গোল করতে পারেননি তাঁরা। মিরশাদ প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ১৬ বারের ডুরান্ড চ্যাম্পিয়নদের সামনে। নিজের প্রাক্তন ক্লাবকে বার বার হতাশ করেছেন। খেলার গতির বিপরীতে ৬৬ মিনিটে মিকেল কোর্তাজ়ারের গোলে এগিয়ে যায় ডায়মন্ড হারবার। ফ্রিকিক থেকে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে ব্যাক ভলিতে গোল করেন তিনি। তবে বেশি ক্ষণ পিছিয়ে থাকতে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। ৬৭ মিনিটেই দূরপাল্লার শটে লাল-হলুদকে সমতায় ফেরান আনোয়ার। মনে থাকার মতো গোল করলেন তিনি। তাতেও লাভ হল না স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায়।
তবু ঝুঁকি নিতে চাননি ব্রুজ়ো। ৭৩ মিনিটে রশিদকে নামান সাউল ক্রেসপোর জায়গায়। তাতেও বিশেষ সুবিধা হয়নি। ৮৩ মিনিটে জটলা থেকে ডায়মন্ড হারবারকে আবার এগিয়ে দেন জবি জাস্টিন। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন স্ট্রাইকারের এই গোলই লাল-হলুদকে ছিটকে দিল ডুরান্ড কাপ থেকে।