ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ টেস্টের সিরিজ়ের দলে ছিলেন সাই সুদর্শন এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। আইপিএলের সাফল্যের সুবাদে টেস্ট দলে ঢুকে পড়েছিলেন দুই ক্রিকেটার। ইংল্যান্ডের মাটিতে ব্যর্থতার জন্য তাঁদেরই জায়গা হল না এশিয়া কাপের দলে। অথচ এ বার এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে!
ভারতের দল নির্বাচনে ক্রিকেটীয় যুক্তির অভাব ধরা পড়ে গিয়েছে অজিত আগরকরের কথাতেই। এশিয়া কাপের দলে শ্রেয়সের জায়গা না হওয়ার কোনও ক্রিকেটীয় যুক্তি দিতে পারেননি। আবার আইপিএলের সফলতম ব্যাটার এবং বোলারকেও দলে নেননি। টেস্ট ক্রিকেটের দল গড়েছিলেন আইপিএলের পারফরম্যান্স দেখে। এ বার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দল গড়েছেন টেস্টের পারফরম্যান্স দেখে।
গত আইপিএলে কমলা টুপি জিতেছিলেন সুদর্শন। গুজরাত টাইটান্সের হয়ে ১৫টা ম্যাচে করেছিলেন ৭৫৯ রান। গড় ছিল ৫৪.২১। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৬.১৭। একটা শতরান এবং ছ’টা অর্ধশতরান করেছিলেন। আইপিএলের পর ভারতীয় দল কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেনি। স্বাভাবিক ভাবেই এশিয়া কাপের দল নির্বাচনের সময় গুরুত্ব পাওয়া উচিত ছিল সুদর্শনের আইপিএলের পারফরম্যান্স।
একই কথা প্রযোজ্য প্রসিদ্ধের ক্ষেত্রেও। তিনি আইপিএল খেলেছেন গুজরাতের হয়ে। জিতেছেন বেগনি টুপি। ১৫টা ম্যাচে নেন ২৫টা উইকেট। ওভার প্রতি দেন ৮.২৭ রান। একটা ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। ২০ ওভারের লিগে ভাল পারফর্ম করেও তিনি জায়গা পাননি এশিয়া কাপের দলে। অথচ সেই পারফরম্যান্সের সুবাদেই টেস্ট দলে সুযোগ পান।
ইংল্যান্ডের মাটিতে সুদর্শন এবং প্রসিদ্ধ ধারাবাহিক সাফল্য পাননি। প্রথম একাদশে নিয়মিতও হতে পারেননি। তাঁদের নির্বাচন নিয়ে সে সময় সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছিল। এ বারও তাঁদের বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন অসঙ্গত নয়। কারণ টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কোনও মিল নেই। সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। আগরকরের নির্বাচক কমিটি কি ক্রিকেটীয় যুক্তি এবং পারফরম্যান্স দিয়ে দল নির্বাচন করছে? কেন দলে জায়গা পেলেন না দুই ক্রিকেটার? প্রশ্ন থাকছেই।