আইএসএল নিয়ে চাপ বাড়ছে! ক্লাবগুলোর কাছেই আইনি পরামর্শ চেয়ে বসল ফেডারেশন

আইএসএল কি আদৌ হবে চলতি বছর? এটাই এখন প্রশ্ন ভারতের ফুটবল সমর্থকদের। কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা (এআইএফএফ)। সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফুটবল সংস্থার উপর চাপ বাড়াচ্ছে আইএসএলের ১১ ক্লাব। বাধ্য হয়ে ক্লাবগুলোকে আইনি পরামর্শের অনুরোধ করেছে এআইএফএফ।

গত মাসে ফেডারশনকে চিঠি দিয়েছিল আইএসএল-এর ক্লাবগুলো। তাদের দাবি ছিল, জরুরি ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আবেদন করুক ফেডারেশন। ফুটবল সংস্থার সংবিধান সংক্রান্ত শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আইএসএলের আইনি জট কাটবে না। চিঠিতে ক্লাবগুলো হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ফেডারেশন পদক্ষেপ না করলে তারা নিজেরাই আইনি পদক্ষেপ করবে।

চাপে পড়ে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা ক্লাবগুলোর কাছে অনুরোধ করেছে। ফেডারেশন ও ১১ ক্লাবের আইনি দলকে এক জায়গায় বসে আলোচনার অনুরোধ করা হয়েছে। সেই আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করারও অনুরোধ করেছে কল্যাণ চৌবের নেতৃত্বাধীন সংস্থা। এখন দেখার, এআইএএফ-এর এই অনুরোধের জবাবে ক্লাবগুলো কী সিদ্ধান্ত নেয়।

গত ১১ জুলাই ক্লাবগুলোকে চিঠি পাঠিয়ে ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (এফএসডিএল) জানিয়ে দেয় যে আইএসএল আপাতত মুলতুবি রাখা হচ্ছে। ক্লাবগুলোকে চিঠি পাঠিয়ে এফএসডিএল জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) স্বাক্ষরিত হওয়া মাস্টার্স রাইটস্ এগ্রিমেন্ট (এমআরএ) আগামী ৮ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে। অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে আইএসএল শুরু হলেও এক-তৃতীয়াংশ সময়ের মধ্যে চুক্তি শেষ হয়ে যাবে। নতুন করে চুক্তি সই নিয়ে বেশ কয়েক মাস আগে আলোচনা শুরু হলেও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে যে হেতু ডিসেম্বরের পর আর চুক্তি থাকছে না, তাই ২০২৫-২৬ মরসুমের আইএসএলের পরিকল্পনা, আয়োজন বা বাণিজ্যিকীকরণ করতে এফএসডিএল অপারগ।

এফএসডিএল চিঠিতে লিখেছে, “এই পরিস্থিতিতে আমরা ২০২৫-২৬ মরসুম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো জায়গায় নেই। তাই যত দিন না নতুন চুক্তি নিয়ে কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে তত দিন এই প্রতিযোগিতা মুলতুবি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।” এফএসডিএল জানিয়েছে, অনেক ভাবনাচিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্লাবগুলির সঙ্গে যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে এবং তারা যাতে নিজের মতো করে পরিকল্পনা করতে পারে, তাই চিঠি দিয়ে সকলকে পরিস্থিতির কথা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

২০১০ সালে ১৫ বছরের জন্য এআইএফএফের সঙ্গে চুক্তি সই হয় এফএসডিএলের। প্রতি বছর এর মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা পায় ফেডারেশন। তাদের প্রতি দিনের খরচ চালানো এবং বিভিন্ন লিগ আয়োজন করার ক্ষেত্রে যা গুরুত্বপূর্ণ।

তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই মুহূর্তে এমআরএ সই করতে পারবে না ফেডারেশন। যত দিন না সুপ্রিম কোর্টে ফেডারেশনের সংবিধান চূড়ান্ত হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত এই কাজ করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর নতুন কমিটিও তৈরি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তারাই এফএসডিএলের সঙ্গে চুক্তিতে সই করবে। তাতে দীর্ঘ সময় লাগার কথা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.