অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের চিঠি পেয়েই জাতীয় সংসদের ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিল বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মহম্মদ সানাউল্লা সাংবাদিকদের জানালেন, আগামী ডিসেম্বর মাসে ভোটের দিন ঘোষণা করা হতে পারে।
আবুল জানান, আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাঁরা ভোটার হিসাবে নাম নথিভুক্ত করবেন, তাঁরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘প্রবাসী ভোটারদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন।’’ এ ক্ষেত্রে দলীয় ও নির্দল প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা প্রতীক-সহ ব্যালট পেপার প্রবাসী ভোটারদের কাছে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইউনূস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, রমজান মাস শুরুর আগেই আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। এর পরে বুধবারে ভোটের আয়োজনের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার আবুল জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে ভোট করাতে হলে নির্বাচনী বিধি মেনে দু’মাস আগে দিন ঘোষণা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ইউনূসের দফতরের মুখ্যসচিব এম সিরাজউদ্দিন মিঁয়া অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে কমিশনকে চিঠি লিখেছিলেন। উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে (রমজান মাস শুরুর আগে) ‘প্রত্যাশিত মানের অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন’ আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার ‘অনুরোধ’ জানানো হয়েছিল ওই চিঠিতে। নির্বাচনের আয়োজনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে সমস্ত রকম সহযোগিতা করা হবে বলেও কমিশনকে জানিয়েছিল ইউনূসের দফতর। বস্তুত, ওই চিঠির মাধ্যমে জাতীয় সংসদের নির্বাচন আয়োজনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছিল। তার পরেই বৃহস্পতিবার দীর্ঘ বৈঠক করে ভোটের প্রস্তুতিপর্ব শুরু করে দিল কমিশন।