বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার সঙ্গে তাঁদের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় বসতে পারেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কর্তারা। ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ়ের পর এক দিনের দলের নেতৃত্বও শুভমন গিলের হাতে তুলে দিতে আগ্রহী বোর্ড কর্তাদের একাংশ। ২০২৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের পরিকল্পনা এখন থেকেই করতে চান তাঁরা। তাই কোহলি এবং রোহিতের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেন বোর্ড কর্তারা।
গত আইপিএলের সময় টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন কোহলি এবং রোহিত। তার আগে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ২০ ওভারের ক্রিকেট থেকেও অবসর নেন তাঁরা। শুধু এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেননি দুই সিনিয়র ব্যাটার। ২০২৭ সালের বিশ্বকাপের সময় কোহলির বয়স হবে ৩৮। আর রোহিতের ৪০। কোহলির ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও রোহিতের ক্ষেত্রে আছে। তা ছাড়া দু’জনের পারফরম্যান্সও এখন আর ধারাবাহিক নয়।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে আগামী বিশ্বকাপের পরিকল্পনা করতে চাইছেন বোর্ড কর্তারা। বিসিসিআইয়ের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপের এখনও দু’বছর রয়েছে। ২০২৭ সালের নভেম্বরে হবে বিশ্বকাপ। কোহলি এবং রোহিত দু’জনের বয়সই তখন ৪০এর কাছে পৌঁছে যাবে। তাই আমরা এখন থেকেই পরিকল্পনা করতে চাই। ২০১১ সালের পর আমরা আর এক দিনের ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জিততে পারিনি। তরুণ ক্রিকেটারদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা ভাবছি আমরা।’’
বোর্ডের ওই কর্তা অবশ্য এখনই কোহলি এবং রোহিতকে পরিকল্পনার বাইরে রাখার কথা ভাবছেন না। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সাদা বলের ক্রিকেটে কোহলি এবং রোহিতের অবদান প্রচুর। অত্যন্ত সফল ক্রিকেটার। প্রায় সব কিছুই জিতেছে ওরা। আমরা ওদের উপর কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাই না। তবে এক দিনের সূচি শুরু হওয়ার আগে ওদের পরিকল্পনা আমাদের জানা দরকার। দু’জনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে নেওয়াই ভাল। শারীরিক এবং মানসিক ভাবে ওরা কী পরিস্থিতিতে রয়েছে, সেটা জানা দরকার। ওদের সিদ্ধান্তের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তাই আমরা পরিষ্কার হয়ে নিতে চাই।’’
বিসিসিআই কর্তারা কোহলি এবং রোহিতের উপর কিছু চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষে না হলেও তরুণ ক্রিকেটারদের গুরুত্ব দিতে চাইছেন। এক দিনের ক্রিকেটের পরবর্তী অধিনায়ক হিসাবেও শুভমনের কথা ভাবা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এখনও রোহিতই এক দিনের দলের অধিনায়ক। উল্লেখ্য, আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রয়েছে ভারতের পরবর্তী এক দিনের সিরিজ়।