মাস তিনেক আগে জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের প্রাণ গিয়েছিল। সম্প্রতি শ্রীনগরের কাছে সেনার ‘অপারেশন মহাদেব’-এ নিহত হয়েছে পহেলগাঁওয়ের সেই তিন জঙ্গি। এ বার তাদেরই এক জনের শেষকৃত্য হল পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন মহাদেব’-এ নিহত হাবিব তাহির ওরফে আফগানির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। হাবিব ছিল পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের কুইয়া গ্রামের বাসিন্দা। হাবিবের নিজের গ্রামেই তার শেষকৃত্য হয়। পরিজনেরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু আচমকা দলবল নিয়ে সেখানে হাজির হন স্থানীয় লশকর-এ-ত্যায়বার কমান্ডার রিজওয়ান হানিফ। সকলের সঙ্গেই ছিল অস্ত্র। হাবিবের পরিবারের সদস্যেরা তাঁদের বাধা দিতে গেলে দু’পক্ষে বচসা শুরু হয়ে যায়। শেষমেশ স্থানীয়দের প্রতিরোধে এলাকা ছাড়তে হয় হানিফদের।
এনডিটিভি-র একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩০ জুলাই পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের কুইয়া গ্রামের বাসিন্দারা হাবিবের শেষকৃত্যের জন্য জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু হানিফের দলবল সেখানে উপস্থিত হলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। হাবিবের পরিজনেরা তাঁদের বাধা দিতে গেলে হানিফের ভাগ্নে বন্দুক বার করে উল্টে তাঁদেরই হুমকি দিতে শুরু করেন। এতে মারমুখী হয়ে ওঠে উপস্থিত জনতা। শেষমেশ বেগতিক বুঝে হানিফ ও তাঁর সহযোগীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে সেই শেষকৃত্যের একাধিক ভিডিয়ো ও ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে (সেগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
গত সোমবার সেনার ‘অপারেশন মহাদেব’-এ নিহত হয় পহেলগাঁওয়ের তিন জঙ্গি। শ্রীনগর পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট (এসএসপি) জিভি সুনদীপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, নিহত জঙ্গিরা হাফিজ সইদের নেতৃত্বাধীন নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া (জেইউডি)-র সদস্য ছিল। এদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল পাক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লশকর-এ-ত্যায়বা (এলইটি)। হাবিবও ছিল এদেরই এক জন।