Haldia Mother Daughter Death Case: মা-মেয়ে দুজনের সঙ্গেই সম্পর্ক, জীবন্ত পু*ড়ি*য়ে হ*ত্যা, কঠিন সাজা ঘোষণা আদালতের

সম্পর্ক ছিল মা-মেয়ে দুজনের সঙ্গেই। সেই সম্পর্ক একসময় ভয়ংকর দিকে মোড় নেয়। তার জেরেই ওই দুজনে খুন করে হলদিয়ার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন। ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারির সেই মামালার রায় দিল তমলুক জেলা আদালত। চার দোষীকে যাবাজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিল আদালত। ২০২০ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি হলদিয়া পৌরসভার ঝিকুরখালি এলাকার হলদি নদীর ধারে মা-মেয়ের অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পরে জানা যায় জোড়া খুনে অভিযুক্ত হলদিয়ার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুরের রমা দে নামে এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় সাদ্দামের। সম্পর্ক গঠনের পরে রমা এবং তার ১৮ বছরের মেয়ে জেসিকাকে নিয়ে অভিযুক্ত সাবধান হলদিয়ায় চলে আসে। সেখানেই এক বাড়ি ভাড়া করে তাদের রেখে দেয়। রমার পাশাপাশি তার মেয়ে জেসিকার সাথেও সাদ্দামের একটি প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে সাদ্দাম জেসিকাকে বিয়ে করে।

ওই বিয়ের পরপরই বেঁকে বসেন রমা। শুরু হয় তিন জনের মধ্যে বিবাদ। সাদ্দাম সব সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা চালায়। তারপরেই ঘটনা মোড় নেন নৃশংসতার। মা ও মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে আসে ঝিকুর খালি এলাকাযর একটি ইটভাটায়। মৃত ভেবে দুই মা মেয়ের গায়ে পেট্রোল ঢেলে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারে।

এলাকাবাসী জানতে পেরে পুলিসের হাতে তুলে দেয় সাদ্দামকে। ঘটনার ৯০ দিন পরে চার্জশিট দেয় পুলিস। পাঁচ বছর মামলা চলার পরে আজ সাজা ঘোষণা করে তমলুক জেলা আদালত। মূল অপরাধী সাদ্দাম সহ বাকি বাকি ৩ অপরাধীকে ৩০২ (খুন) এবং ৩০১(প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিল তমলুক জেলা ও দায়রা আদালত।

এনিয়ে মৃতের আইনজীবী বলেন, ঝিকিরখালিতে এক ব্রিক ফিল্টে এই ঘটনা ঘটে। ওই মামলায় ৪৫ জন সাক্ষী ছিল। এদের মধ্যে ছিলেন পোস্ট মর্টেম ডাক্তার, ফিঙ্গারপিন্ট এক্পার্টও। ২টি ধারায় মূলত সাজা দেওয়া হয়েছে।  ৩০২ ধারায় খুন ও  ২০১ প্রমাণ বিলোপের চেষ্টা। অপরাধীদের উদ্দেশ্য ছিল গর্ত কেটে মৃতদেহ মাটি চাপা দিয়ে দেওয়া। দেষীদের সবারই যাবজ্জীবন ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। সাদ্দাম হোসেন মূল আসামী। বাকী সাজাপ্রাপ্তরা হল মঞ্জুর আলম মল্লিক, সুদেব দাস, আমিনুল হোসেন। সবাইকে একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.