আমেরিকার সঙ্গে ভারতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। আগামী দিনে দুই দেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে, আশাবাদী নয়াদিল্লি। শুক্রবার কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল এমনটাই মন্তব্য করেছেন। ভারতের উপর আমেরিকা যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, তা নিয়ে রনধীরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকার এই পদক্ষেপের পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে দুই দেশের সম্পর্কের অগ্রগতি প্রসঙ্গে আশাবাদী সরকার।
ভারতের উপর শুল্ক ঘোষণার সময়ে রাশিয়ার সঙ্গে নয়াদিল্লির বাণিজ্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়া থেকে ভারত খনিজ তেল কেনায় ইউক্রেন-যুদ্ধে রাশিয়ার সুবিধা হচ্ছে, দাবি আমেরিকার। পাকিস্তানের সঙ্গে তেল নিয়ে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প। কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ভবিষ্যতে হয়তো পাকিস্তান থেকে তেল কিনবে ভারত। ট্রাম্পের এই খোঁচা নিয়ে রনধীরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না।
আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য এবং পারস্পরিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘‘আমেরিকা এবং ভারতের সম্পর্ক অনেক পরিবর্তন এবং চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে। একে অপরের স্বার্থের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধা অটল রয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার। গত কয়েক বছরে তা আরও শক্তিশালী হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে এই প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও অনেক এগোতে পারে, সেই সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে লক্ষ্যে অবিচল। আমরা নিশ্চিত, আমেরিকার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে।’’
দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক তৃতীয় কোনও আয়নায় দেখা উচিত নয়, মন্তব্য কেন্দ্রের। রনধীর বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে যত দেশের যত রকমের সম্পর্ক রয়েছে, সেগুলি নিজস্ব যোগ্যতার উপরে দাঁড়িয়ে। তৃতীয় কোনও দেশের আয়নায় এই সম্পর্কগুলিকে দেখা উচিত নয়।’’ উল্লেখ্য, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য সম্পর্কের কথা বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু রনধীর রাশিয়ার উল্লেখ করেননি। বরং তাঁর বক্তব্য, ‘‘বাজারে কে কী দাম নিচ্ছে এবং সার্বিক বিশ্ব পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে আমরা আমাদের জ্বালানি চাহিদা পূরণ করে থাকি।’’
ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পাশাপাশি ‘জরিমানা’র হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন ট্রাম্প। জানিয়েছিলেন, রাশিয়া থেকে তেল এবং অস্ত্র কেনার জন্য ভারতের থেকে বাণিজ্যে জরিমানা নেওয়া হবে। যদিও জরিমানার অঙ্ক তিনি স্পষ্ট করেননি। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার রাস্তা এখনও খোলা রেখেছে আমেরিকা।