বিহারে বৌদ্ধ গয়ায় হোমগার্ড নিয়োগ পরীক্ষার সময়ে জ্ঞান হারিয়েছিলেন এক তরুণী। অভিযোগ, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সের চালক এবং প্রযুক্তিকর্মীকে। এই ঘটনায় ভোটমুখী বিহারের নীতীশ কুমার সরকারকে একহাত নিয়েছে বিরোধী রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ জুলাই বৌদ্ধ গয়ায় হোমগার্ড নিয়োগের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষায় দৌড়োনোর পর্বে জ্ঞান হারান এক প্রার্থী। পরীক্ষাস্থলেই ছিল অ্যাম্বুল্যান্স। ওই প্রার্থীকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয় অ্যাম্বুল্যান্সটি। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘মহিলা অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালের পথে তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন অ্যাম্বুল্যান্সের চালক এবং সহকারী।’’ অভিযোগ পেয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছেন গয়া পুলিশের সিনিয়র সুপার। সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন গয়া পুলিশে সাব-ডিভিশনার পুলিশ অফিসার। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফরেন্সিক বিভাগকে।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্যাতিতার বয়ান, তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট এবং ভিডিয়ো ফুটেজের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্তেরা। ধৃতদের এক জন গয়া জেলার বাসিন্দা। দ্বিতীয় জন নালন্দা জেলার বাসিন্দা। গয়া পুলিশের সিনিয়র সুপার জানিয়েছেন, তদন্তের পরে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে। দ্রুত বিচারের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনায় সরব বিরোধীরা। আরজেডি নেতা, তথা লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ট্যাগ করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট দেন। তিনি লেখেন, ‘‘প্রিয় ভাই এবং শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রী, বিহারে কি এটাকে আপনারা রাক্ষসের শাসন বলবেন? অপরাধীদের দ্বারা শাসিত উচ্ছন্নে যাওয়া রাজ্য বলবেন? নাকি আইনের শাসনহীন রাজ্য? নাকি মোদী-নীতীশের কুশাসন বলবেন?’’ তিনি এ-ও অভিযোগ করেছেন যে, বিহারে প্রায় প্রতিদিন মহিলাদের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। ধর্ষণ, হেনস্থা হচ্ছে। এই নিয়ে কোনও কথা না বলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।