Chief Justice of India on Child custody case: বারোর মেয়ে বাবার সঙ্গে থাকতে, চাইছে ১ কোটি! আপনি মানুষ? মূল্যবোধ কোথায়… কাস্টডি কেসে সুপ্রিম তোপে মা…

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলার শুনানির সময় বিচারপতি বি আর গাভাই ১২ বছর বয়সী একটি মেয়েকে তার বাবার কাছে ১ কোটি টাকা দাবি করতে দেখে হতবাক হয়ে যান। মেয়েটি তার বাবার কাছে এই বিপুল পরিমাণ টাকা চেয়েছিল তার সঙ্গে থাকার জন্য।

এই ঘটনায় বিচারপতি মেয়েটির মাকে কঠোরভাবে সতর্ক করে বলেন, ‘আপনি আপনার মেয়ের মন নষ্ট করছেন।’

ঘটনার বিবরণ: 

ঘটনাটি মূলত একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা ছিল, যেখানে মেয়েটির হেফাজত নিয়ে মামলা চলছিল। প্রধান বিচারপতি গাভাই এই ধরনের আর্থিক লোভের সমালোচনা করে বলেছেন যে, মা-বাবা হিসেবে সন্তানদের সঠিক মূল্যবোধ শেখানো উচিত, কেবল আর্থিক চাহিদা পূরণ করা নয়। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের দাবি শিশুর মনে ভুল ধারণা তৈরি করবে।

এই মন্তব্যের মাধ্যমে আদালত এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে, পারিবারিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আর্থিক লোভের কোনও স্থান নেই এবং একজন শিশুর সঠিক মানসিক বিকাশের জন্য অর্থ নয়, বরং সুস্থ পারিবারিক পরিবেশ জরুরি।

আদালতে প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই বলেন- ‘আপনি অযথা আপনার সন্তানকে টেনে আনছেন মামলার মধ্যে এবং তাঁর  সুকুমার মন নষ্ট করছেন,’- 
১২ বছর বয়সী এক মেয়ের মাকে ডিভোর্স মামলায় সতর্ক করে এমন চমকপ্রদ কথা বলেছেন। মা-বাবার ডিভোর্সে, শিশু হেফাজতের মামলার শুনানি চলাকালীন এই মন্তব্য ঝড় তুলেছে আইনজ্ঞ মহলে, সমাজে। বিচারপতি এমনও বলেন, একদিন এটি তার কাছে ‘ফিরে আসবে’ অর্থাত্‍ এই ধরনের আচরণ বা শিক্ষা যা তিনি তাঁর শিশুকে শেখাচ্ছেন, একদিন তার কাছেও ফিরে আসবে। মেয়েটি তার বাবার কাছে ১ কোটি টাকা দাবি করার পর বলে, বাবা যদি তার সঙ্গে থাকতে চায়, তাহলে তাকে এই টাকা দিতে হবে। 

এছাড়াও, আদালত আরও উল্লেখ করেছে যে মেয়েটি তার বাবাকে লাঠি দিয়ে মেরেছে। 

বাবার বক্তব্য: 

বাবার পক্ষে উপস্থিত হয়ে সিনিয়র অ্যাডভোকেট পিআর পাটওয়ালিয়া আদালতকে জানান যে দম্পতির মধ্যে ডিভোর্সের মামলা চলছিল। জেলা আদালত সন্তানের হেফাজত বাবার হাতে মঞ্জুর করে, কিন্তু মা,সন্তানকে বাবার কাছে পাঠাননি। এই আদেশের বিরুদ্ধে মা হাইকোর্টে আবেদন করেন যা এখনও বিচারাধীন।  হেফাজত 

এদিকে, হাইকোর্ট বাবার অবমাননার মামলা খারিজ করে দিয়েছে, এবং তাই তিনি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

প্রধান বিচারপতি গাভাই এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চকে জানানো হয় যে গত বছরের সেপ্টেম্বরে, সুপ্রিম কোর্ট জেলা আইনি পরিষেবাকে, একজন প্যারালিগ্যাল স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে বলেছিল যাতে বাবার সঙ্গে সন্তানের সাক্ষাতের অধিকার নিশ্চিত করা হয়। 

মেয়েটির বাবার আইনজীবি আদালতে বলেন যে, ‘গতকালই মেয়েটি বাবার সঙ্গে আসতে রাজি হয়নি এবং সে বাবাকে বলেছে যে ‘তুমি আমার মাকে হয়রানি করছ, তুমি অবমাননার মামলা (মামলা) করেছো, তুমি দয়া করে ১ কোটি টাকা দাও, অন্যথায় আমি যাব না,’ আইনজীবি এও বলেন, ‘তার উপরে, স্কুলের রেকর্ড থেকে মা, সন্তানের বাবার নাম মুছে ফেলেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.