বিহারের সংশোধিত ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে প্রায় ৫২ লক্ষ নাম। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বাদ পড়া তালিকায় ‘মৃত এবং স্থানান্তরিত’ ভোটারদের নাম রয়েছে বলেও কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।
চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’ (স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর) করতে গিয়ে আগেই বিতর্কের মুখে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার দলের সমাবেশে অভিযোগ তুলেছিলেন, ৪০ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে পড়শি রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গেও বিধানসভা ভোটে একই কায়দায় কমিশন নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করবে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
বস্তুত, বিহারের ভোটার তালিকায় নাম ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে কমিশনের ঘোষণা মমতার দাবিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। কমিশন মঙ্গলবার জানিয়েছে, আগামী ১ অগস্ট যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে, সকল যোগ্য ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিহারের ভোটার তালিকায় সংশোধন নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সেগুলি একত্রিত করে শুনানি শুরু হয়েছে বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে। তার মধ্যে কী ভাবে নির্বাচন কমিশন সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ ক্ষেত্রে সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত ‘ক্ষমতা এবং এক্তিয়ারে’র উল্লেখ করে কমিশনের যুক্তি, গোটা প্রক্রিয়াটি একটি সুসংগত এবং সাংবিধানিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। ১৭ জুলাই শীর্ষ আদালতের তরফে নির্বাচন কমিশনকে এসআইআর-২০২৫ এর উদ্দেশ্যে আধার, ভোটার আইডি এবং রেশন কার্ড বিবেচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার কমিশনের তরফে শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে সেগুলি বিবেচনা করা যাবে না। কমিশনের দাবি, আধার আদতে একটি পরিচয়পত্র মাত্র, নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। এমনকি, এসআইআর-পর্বে নতুন করে ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে ভোটার আইডি চূড়ান্ত পরিচয়পত্র হতে পারে না বলেও জানিয়েছে কমিশন।