তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বিশ্বক্রিকেটে তাঁর পছন্দের সেরা একাদশ বেছে নিয়েছেন সুরেশ রায়না। বিভিন্ন দেশ মিলিয়ে মোট ১২ জনকে বেছে নিয়েছেন তিনি। প্রথম দলে ১১ জন। একজন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। এই দলে রয়েছেন ভারতের চার ক্রিকেটার। কিন্তু রায়নার খুব প্রিয় মহেন্দ্র সিংহ ধোনিই দলে নেই। জায়গা পাননি বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাও।
বিভিন্ন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের নিয়ে দল বানিয়েছেন রায়না। তাঁর দলে ওপেনার হিসাবে রয়েছেন ব্রায়ান লারা ও সচিন তেন্ডুলকর। লারা যদিও ক্রিকেটে ওপেন খুব কম ম্যাচেই করেছেন। তিন ও চার নম্বরে ব্যাট করতেই বেশি দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই লারাকেই ওপেনে রেখেছেন তিনি।
মিডল অর্ডারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ভিভ রিচার্ডস ও গ্যারি সোবার্সের পাশাপাশি যুবরাজ সিংহকেও রেখেছেন রায়না। সঙ্গে রয়েছেন ইংল্যান্ডের দুই অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম ও অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। রিচার্ডস, সোবার্স, বোথামেরা এক প্রজন্মের। তাঁদের সঙ্গে তিনি জুড়ে দিয়েছেন অন্য এক প্রজন্মের দুই খেলোয়াড় যুবরাজ ও ফ্লিনটফকে।
রায়নার বোলিং আক্রমণে স্পিনারদের আধিক্য। চার স্পিনার নিয়েছেন তিনি। ভারতের হরভজন সিংহ ও অনিল কুম্বলের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন ও পাকিস্তানের সাকলিন মুস্তাককে নিয়েছেন তিনি। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার পল অ্যাডামস। অর্থাৎ, রায়নার দলে এক জনও পেসার নেই।
তাঁর এই দল বাছার আসার পর অনেক প্রশ্ন উঠছে। দলে কোনও উইকেটরক্ষক নেই। ধোনির মতো এমন উইকেটরক্ষক ও অধিনায়ক থাকার পরেও তাঁকে নেননি রায়না। বীরেন্দ্র সহবাগের মতো ওপেনার নেই। তিন ফরম্যাটে সেরাদের দলে থাকা কোহলিকে নেননি রায়না। নেই রোহিতও। এমনকি, পেস আক্রমণে গ্লেন ম্যাকগ্রা, ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনুস বা ইমরান খানদের কারও জায়গা হয়নি। টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক মুথাইয়া মুরলিধরনকেও নেননি রায়না।