R.G.Kar Rape Case Sanjay Roy Case: সিবিআই কর্তার ব্যাচমেট বিনীত গোয়েল, তাই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা! কোর্টে ফের সেটিং তত্ত্ব নির্যাতিতার মা-বাবার…

সিবিআইয়ের শীর্ষকর্তা সম্পৎ মীনা এবং কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল (Vineet Goyal)ব্যাচমেট। সেজন্যই বিনীতের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না সিবিআই (CBI)। বুধবার শিয়ালদা আদালতে এই বিস্ফোরক অভিযোগই করেছেন আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি (Phiroze Edulji)

নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীর দাবি: 

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলায় (RG Kar Case) শিয়ালদহ আদালতে (Sealdah Court) ষষ্ঠ স্ট্যাটাস রিপোর্ট (Status Report) জমা দিল সিবিআই (CBI)। এই রিপোর্ট জমা পড়ার পরে ফের ক্ষোভ উগরে দেন নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি।

সিবিআইয়ের দাবি: 

যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছে সিবিআই। আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী এপ্রসঙ্গে বলেন, ‘ব্যাচমেট হওয়া অপরাধ নয়। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছি। সমস্ত সাক্ষীর বয়ান নিয়েছি। তাছাড়া বিনীতের বিরুদ্ধে অপরাধে যুক্ত থাকার কোনও প্রমাণ মেলেনি।’

বুধবার শিয়ালদহ আদালতে সিবিআই জানায়, ১০ জুন থেকে ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন করে সাত জনের বয়ান রেকর্ড (Statement Record) করা হয়েছে। ৩২টি সিসিটিভি ফুটেজ পুনরায় খতিয়ে দেখা হয়েছে। তদন্ত এখনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দিকেই এগোচ্ছে।

পুলিসের তদন্ত: 

কিন্তু নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি প্রশ্ন তুলেছেন, কলকাতা পুলিসের তদন্ত যেখানে শেষ হয়েছিল, সিবিআইও কি সেখানে আটকে আছে? নতুন কোনও তথ্যই কি উঠে আসেনি? যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত চার্জশিট কেন দেওয়া গেল না?

ব্যাচমেট’ বিতর্ক: 

সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে তৎকালীন পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং সিবিআইয়ের সিনিয়র অফিসার সম্পত মীনার ‘ব্যাচমেট’ হওয়া নিয়ে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, ব্যাচমেট সম্পত মীনা কি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে পারবেন? তবে এই অভিযোগ স্পষ্টভাবে নাকচ করেছে সিবিআই। আদালতে সিবিআইয়ের স্পেশাল পিপি জানিয়েছেন, ‘ব্যাচমেট হওয়া কোনও অপরাধ নয়। বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’

সিবিআইয়ের দাবি, অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ডিএনএ নমুনা মিলেছে। বাইকের ট্রাফিক ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষের আইনজীবীর পাল্টা প্রশ্ন, ‘ওই রাতে হাসপাতালে যে চারজন চিকিৎসক ছিলেন, তাদের কেন সিবিআই হেফাজতে নেয়নি? দুই-তিনটি বিকল্প রাস্তাও ছিল। শুধুমাত্র একটিমাত্র সিসিটিভি ফুটেজের উপর ভরসা করা হচ্ছে কেন?’

আদালতের জিজ্ঞাসা: 

আদালতও জানতে চেয়েছে, তদন্ত কতদূর এগোল, কী অগ্রগতি হয়েছে। সিবিআই জানায়, সব মিলিয়ে ৩২টি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের লাই ডিটেকশন টেস্টও করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। সিবিআই আরও দাবি করেছে, হাথরস কাণ্ডে যেমন মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও তদন্ত করা হয়েছে, এখানেও তদন্তে কোনও রকম পক্ষপাত হচ্ছে না। তবে তথ্যপ্রমাণ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব নয়।

এদিন তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে আদালত জানতে চাইলে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘মোট ৩২টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। হাসপাতালে কে আসছেন, কে যাচ্ছেন, সব দেখা হয়েছে।’ কিন্তু এরপরই নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী পালটা প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পৌঁছোনোর জন্য আরও দু’টি রাস্তা রয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.