উইম্বলডনের ফাইনালে উঠে গেলেন কার্লোস আলকারাজ়। শুক্রবার প্রথম সেমিফাইনালে আমেরিকার টেলর ফ্রিৎজ়কে হারালেন ৬-৪, ৫-৭, ৬-৩, ৭-৬ গেমে। আগের দু’বার সেন্টার কোর্টে ট্রফি জিতেছেন আলকারাজ়। আগামী রবিবার স্পেনের খেলোয়াড় নামবেন হ্যাটট্রিক করতে। উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে ফরাসি ওপেনও জিতেছিলেন তিনি। ফাইনালে ইয়ানিক সিনার বনাম নোভাক জোকোভিচ ম্যাচের বিজয়ীর বিরুদ্ধে খেলবেন আলকারাজ়।
দু’ঘণ্টা ৪৮ মিনিটে ম্যাচ জিতেছেন আলকারাজ়। তবে বেশ কয়েক বার কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। দ্বিতীয় সেটের শেষ দিকে মনঃসংযোগে ঘাটতি হওয়ায় জিততে পারেননি। তবে তৃতীয় সেটে ফিরে আসেন। বেসলাইন থেকে একের পর এক জোরালো শটে বিপদে ফেলেন ফ্রিৎজ়কে। চতুর্থ সেটের টাইব্রেকারে তিনি দু’বার সেট পয়েন্ট বাঁচান। তার পর টানা চারটি পয়েন্ট জিতে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেন।
রবিবার জিতলে বিশ্বের পঞ্চম খেলোয়াড় হিসাবে টানা তিনটি উইম্বলডন জয়ের নজির গড়বেন আলকারাজ়। পাশাপাশি বিয়র্ন বর্গের পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসাবে পর পর দু’বছর ফরাসি ওপেন এবং উইম্বলডন একই সঙ্গে জেতার নজিরও গড়বেন আলকারাজ়। বর্গ এই কাজ করেছেন টানা তিন বছর। টানা ২৪টি ম্যাচ জিতে ফাইনালে নামবেন আলকারাজ়।
গত মাসে আলকারাজ় তিনটি ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে সিনারকে ফরাসি ওপেনের ফাইনালে হারিয়েছিলেন। ইটালীয় খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে মুখোমুখি সাক্ষাতে ৮-৪ এগিয়ে আলকারাজ়। শেষ দু’বার উইম্বলডন ফাইনালে জোকোভিচকে হারিয়েছিলেন আলকারাজ়। সার্বিয়ার খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ৩-৫ পিছিয়ে তিনি।
সেমিফাইনালে ওঠার পথে দু’টি পাঁচ সেটের ম্যাচ খেলতে হয়েছিল ফ্রিৎজ়কে। অ্যান্ডি রডিকের পর আমেরিকার প্রথম খেলোয়াড় হিসাবে উইম্বলডন ফাইনালে ওঠার দৌড়ে ছিলেন তিনি। আলকারাজ়কে সময়ে সময়ে বিপদেও ফেলেছেন। তবে রিটার্নের যোগ্য জবাব দিতে পারেননি। স্পেনের খেলোয়াড় বেসলাইন থেকে যেমন ভাল ভাল শট খেলেছেন, তেমনই নিখুঁত ড্রপ শট ও সেকেন্ড সার্ভে বিপদে ফেলেছেন ফ্রিৎজ়কে।
টাইব্রেকারে ৬-৪ এগিয়ে গিয়ে সেট পয়েন্ট থেকে এক ধাপ দূরে ছিলেন ফ্রিৎজ়। তবে বার বারই যা দেখা যায় এ বারও তাই দেখা গিয়েছে। যখন সবচেয়ে বেশি দরকার তখনই আলকারাজ়ের র্যাকেট থেকে বেরোয় সেরা টেনিস।
ম্যাচের পর আলকারাজ় বলেছেন, “টেলরের বিরুদ্ধে খেলতে নামলেই কঠিন ম্যাচ হয়। পরিবেশ সেটাকে আরও কঠিন করে তুলেছিল। বেশ গরম ছিল আজ। যে ভাবে খেলেছি তাতে আমি খুশি। স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। এখানে সেমিফাইনাল খেলা সহজ কাজ নয়। নিজেকে শান্ত রেখে এবং ভাবনাচিন্তা ঠিকঠাক রাখার কারণে জিতেছি।”
টানা ২৪ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড মাথাতেই রাখতে চান না তিনি। বলেছেন, “আগে কী হয়েছে এবং ক’টা ম্যাচ জিতেছি সে সব মাথাতেই রাখছিল। এই সুন্দর কোর্টে নেমে বিশ্বের সবচেয়ে সেরা প্রতিযোগিতায় ভাল খেলাই আমার স্বপ্ন। প্রত্যেক প্রতিযোগিতায় ভাল খেলার কথা ভেবেই নামি। মানুষকে আরও বেশি আনন্দ দিতে চাই।”