আড়াই মাসের মধ্যেই অবস্থান বদলে ফেলল ওয়াশিংটন। মে মাসের গোড়ার মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানিয়েছিলেন, তাঁদের অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামেনি। তাই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার আর মধ্যস্থতায় উদ্যোগী হবে না।
কিন্তু বৃহস্পতিবার আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো জানালেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিয়ে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালা লামপুরে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। রুবিয়ো বলেন, ‘‘ইউক্রেনের সংঘাত নিরসনের নতুন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি আমরা। আলোচনার বিস্তারিত ফলাফল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জানাব।’’ তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে রাশিয়ায় ‘অনমনীয়তা’ নিয়ে কিছুটা হতাশ, সে কথাও স্পষ্ট জানিয়েছেন রুবিয়ো।
গত বছর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দ্বিতীয় বার হোয়াইট হাউসে প্রবেশের সুযোগ পেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানবেন তিনি। ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘দু’টি ফোন করলেই যুদ্ধ থেকে যাবে। কিন্তু জানুয়ারি থেকে দফায় দফায় মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা চালিয়েও ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভলোদিমির জ়েলেনস্কিকে নিরস্ত করতে পারেননি তিনি। তিন বছর যুদ্ধের পরে প্রথম বার কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই গত ১৭ মে মুখোমুখি আলোচনায় বসেছিল মস্কো-কভি। যুদ্ধবিরতি নিয়ে ঐকমত্য না-হলেও তুরস্কের ইস্তানবুলের রয়্যাল প্যালেসে আয়োজিত ওই বৈঠকে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মস্কো এবং কিভ। দু’পক্ষই ১০০০ জন করে যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পালিত হয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতি হয়নি।