চলতি সপ্তাহেই জানা গিয়েছিল, দুবাই এ বার থেকে নির্বাচিত ভারতীয়দের আজীবনের জন্য ‘গোল্ডেন ভিসা’ প্রদান করবে। দুবাইয়ের বেসরকারি সংস্থা ‘রায়াদ গ্রুপ’ দাবি করে, তাদের মারফত ভারতীয়েরা এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। খবর ছড়াতেই বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরশাহির (ইউএই) সরকার ওই সংস্থার এই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।
দুবাইয়ের ‘রায়াদ গ্রুপ’ পর্যটকদের ভিসা সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে থাকে। ওই সংস্থা জানিয়েছিল, তাদের মাধ্যমেই নতুন গোল্ডেন ভিসার আবেদন করা যাবে। ভিসা পাওয়ার জন্য এ বার ১ লক্ষ দিরহাম (হাজার টাকা ২৩ লক্ষ ৩০ ভারতীয় মুদ্রায়) বা সে দেশের ব্যবসায় আরও বড় বিনিয়োগ করতে হবে। পুরো বিষয়টিই মনোনয়ন নির্ভর। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সরকারের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে এই খবর ভুয়ো বলে জানানো হয়েছে। সে দেশের ‘আইসিপি’র (দ্য ফেডেরাল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি, সিটিজ়েনশিপ, কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট সিকিউরিটি) তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গোল্ডেন ভিসা’র জন্য একমাত্র দুবাই সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তাঁদের তরফে কোনও বেসরকারি সংস্থাকে ভিসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ‘রায়াদ গ্রুপ’-এর বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর ছড়ানোর জন্য, ইউএই সরকারের তরফে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
এ দিকে চাপে পড়ে তাদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে ‘রায়াদ গ্রুপ’। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, তারা এই প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘আমাদের সংস্থার শীর্ষকর্তার বক্তব্যের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। তার দায় একান্তই আমাদের। ভবিষ্যতে আমরা সতর্ক থাকব।’’ একই সঙ্গে ওই সংস্থা দাবি করেছে, দুবাইয়ের ভিসা দেওয়ার পদ্ধতি বা নিয়মাবলির ক্ষেত্রে তাদের কোনও প্রভাব নেই। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হওয়ার জন্য এ বার থেকে দুবাইয়ের ভিসা সংক্রান্ত পরামর্শ পরিষেবা থেকে আমরা সরে আসছি।’’
ভারতীয়দের জন্য দুবাইয়ের গোল্ডেন ভিসার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সে দেশের সরকার অনুমোদিত পর্যটন সংস্থা সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার চেষ্টা শুরু করেছে। উল্লেখ্য, দুবাই গোল্ডেন ভিসা প্রদান করে। কিন্তু সে ভিসা কে পাবে, তা একমাত্র সে দেশের সরকারই চূড়ান্ত করবে। সূত্রের দাবি, দুবাইয়ের ভিসার জন্য প্রতি দিন নিত্যনতুন দাবি চোখে পড়ে। সেই ফাঁদে পা দিয়ে বহু মানুষ প্রতারণার স্বাকীর হয়েছেন। ইউএই সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যের জন্য সরকারি ওয়েবসাইটই শেষ কথা বলবে।