বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন আলোচনার আবহেই আরও ছ’টি দেশকে শুল্ক-চিঠি পাঠালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদের মধ্যে ইরাক, আলজ়িরিয়া ও লিবিয়ার পণ্যের উপর ৩০ শতাংশ, ব্রুনেই ও মলডোভার উপর ২৫ শতাংশ এবং ফিলিপিন্স থেকে আমদানি করা পণ্যে ২০ শতাংশ চাপানো হতে বলে মার্কিন বাণিজ্য দফতর জানিয়েছে।
ঘটনাচক্রে, বুধবারই শেষ হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘পারস্পরিক শুল্ক’ স্থগিত রাখার ৯০ দিনের সময়সীমা। যদিও মার্কিন বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, বুধবার স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই বর্ধিত শুল্ক কার্যকর হচ্ছে না। তিনি বলেছেন, ‘‘নতুন হারে শুল্ক ১ অগস্ট থেকে কার্যকর হবে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন থেকেই শুল্ক হার এবং চুক্তি চূড়ান্ত করবেন।’’ সেই প্রক্রিয়া মেনেই বিভিন্ন দেশকে পর্যায়ক্রমে শুল্কের হার জানিয়ে চিঠি পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প। এপ্রিলে তিনি সব দেশের পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা করেছিলেন। নতুন ব্যবস্থায় তার পরবর্তন হয়েছে।
ট্রাম্পের নতুন ঘোষণায় শুল্ক কমেছে কাজ়াখস্তান, লাওস, মায়ানমার, তিউনিশিয়া, সার্বিয়া, কম্বোডিয়া এবং বসনিয়ার। কাজ়াখস্তানের উপরে শুল্ক ২৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ হয়েছে। লাওসের ৪৮ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৪০ শতাংশ। মায়ানমারের ক্ষেত্রেও ৪৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। একইরকম ভাবে তিউনিশিয়ার ২৮ শতাংশ থেকে কমে ২৫ শতাংশ, সার্বিয়ার ৩৭ শতাংশ থেকে কমে ৩২ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ৪৯ শতাংশ থেকে কমে ৩৬ শতাংশ এবং বসনিয়ার ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ৩০ শতাংশ হয়েছে। ট্রাম্প সোমবার ‘ব্রিক্স’ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির উপর ১০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। রাশিয়া, চিন, ব্রাজিলের পাশাপাশি ভারতও ‘ব্রিকস’ জোটের সদস্য। ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বাণিজ্যচুক্তি সেরে ফেলা চিন ছাড় পেলেও ভারতের ক্ষেত্রে কী হবে তা এখনও অনিশ্চিত।