Kolkata Shocker: ‘স্বেচ্ছায় পৃথিবী ত্যাগ করছি’, ট্যাংরা কাণ্ডের ছায়া এবার কসবায়, বাড়িতেই…

ফের ঋণের দায়ে শেষ গোটা পরিবার? খাস কলকাতায় বাড়ি থেকে উদ্ধার হল বাবা, মা ও ছেলের দেহ। ট্যাংরার পর এবার কসবা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বাজারে প্রায় লক্ষাধিক টাকা দেনা ছিল ওই পরিবারের। তবে ঠিক কী কারণে আত্মহত্যা? স্ত্রী ও ছেলেকে খুন করে কি আত্মঘাতী বাবা? উত্তর খুঁজছে পুলিস।

স্থানীয় সূত্রে খবর, কসবার ৫০ নম্বর রাজডাঙা মেইন রোডে স্ত্রী গার্গী, ছেলে আয়ুষ্মানের সঙ্গে থাকতেন বছর সত্তরের  স্মরজিত্‍ ভট্টাচার্য। কিন্তু আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকে তাঁদের বাড়ির সদর দরজা বন্ধ ছিল। সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। কসবা থানায় খবর দেয় থানায়। পুলিস আসে। এরপর দরজা ভেঙে তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। 

প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ঋণের কারণেই আত্মহত্যা করেছে বাবা, মা ছেলে। ডাইনিং হল থেকে পাওয়া গিয়েছে বাবার দেহ। অন্য একটি ঘরে ছিল বাবা ও ছেলের দেহ। দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যু প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পুলিস সূত্রে খবর, বাড়ির মালিক জমি-বাড়ির দালালি করতেন। একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। যাতে  লেখা, ‘আমরা স্বেচ্ছায় পৃথিবী ত্যাগ করছি’।

এর আগে, ঋণের দায়ে নিজেদের শেষ করে দিতে চেয়েছিল ট্য়াংরার দে পরিবার। অটল শূর রোডের বাড়ি থেকে দে পরিবারের দুই বধূ রোমি, সুদেষ্ণা এবং কিশোরী প্রিয়ম্বদার দেহ। সেদিন ভোরেই আবার বাইপাসের ধারে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল একটি গাড়ি। যে গাড়িতে ছিলেন  দে পরিবারের দুই ভাই প্রণয়, প্রসূন এবং প্রতীপ। তাঁরা তিনজন অবশ্য বেঁচে যান।

ট্যাংরা কাণ্ডে শিয়ালদহ কোর্টে চার্জশিট পেশ করেছে পুলিস।  খুন এবং খুনের চেষ্টার ধারায় অভিযুক্ত ২ ভাই প্রণয় দে ও প্রসূন দে। মোট ৪ জনের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। যারমধ্যে রয়েছে প্রণয় দে, বাড়ির নাবালক ছেলে, দে পরিবারের এক আত্মীয় এবং অন্য আরেকজন। সাক্ষী হিসেবে নাম রয়েছে বড় ভাইয়ের নাবালক ছেলের। নাবালক ছেলেই বলে যে কাকা-ই খুন করেছে মা ও কাকিমাকে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.