Ahmedabad Plane Crash: ‘মেয়ের শরীরের একটা টুকরো যদি পেতাম, শেষ কাজটা…’ বুকফাটা কান্না বাবার, হাহাকারে মিলে গেল ‘দুই’ মণিপুর!

মেয়ের স্বপ্ন ছিল আকাশ ছোঁওয়ার। ২১ বছরের মেয়ে সেই স্বপ্নকে সফলও করেছিল। পরিবারের প্রাণ ছিল ২১ বছরের নানথোই শর্মা। ছিল পাড়া প্রতিবেশীদের গর্বও। কিন্তু বৃহস্পতিবারের অভিশপ্ত উড়ান এক নিমেষে সব শেষ করে দিয়েছে। এখন শুধুই বুকফাটা কান্না আর হাহাকার। আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Plane Crash) ২১ বছরের মেয়েকে হারিয়ে হতভাগ্য বাবার বিলাপ,  ‘মেয়ের শরীরের একটা টুকরো যদি পাওয়া যেত, তাহলে অন্তত শেষ কাজটা করতে পারতাম!’

মণিপুরের বাবার কান্না

কিন্তু কে দেবে তাঁকে তাঁর ‘মেয়ের শরীরের একটা টুকরো’? একটা শেষ ‘চিহ্ন’! আগুনের তীব্র তাপে যে সব দেহ হয় প্রায় ভস্মীভূত, নয়তো ছিন্নভিন্ন। কোথাও চামড়া থেকে আলাদা করা যাচ্ছে না দেহ। পরিজনদের হাতে প্রিয়জনদের দেহ তুলে দিতে কেবল DNA নয়, করা হচ্ছে ‘ফরেনসিক ওডন্টোলোজি’ও। যেখানে জিনের পাশাপাশি দাঁতের গঠনও মিলিয়ে দেখা হবে। ২১ বছরের নানথোই ছিলেন মণিপুরের থৌবাল শহরের বাসিন্দা (Manipur Air hostess)। অভিশপ্ত এয়ার ইন্ডিয়া AI 171-র কেবিন ক্রুদের মধ্যে একজন।

১৯ বছরে প্রথম চাকরি এয়ার ইন্ডিয়ায়

শোকবিহ্বল বাবা নন্দেশ কুমার শর্মা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নানথোই তাঁর দিদিকে ফোন করে জানান, তিনি লন্ডনে যাচ্ছেন। তাই আগামী কয়েকদিন ফোনে যোগাযোগ থাকবে না। ১৫ জুন ফিরে আসবেন। কিন্তু সেটাই যে শেষ ফোন হবে, কে জানত! ওই ফোনের প্রায় ৩ ঘণ্টা পর টিভিতে বিমান দুর্ঘটনার (Air India crash) খবর দেখে আতঙ্কিত হয়ে নানথোইয়ের দিদি যখন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। তখন সেই ফোন আর কেউ রিসিভ করেননি। এটাই ছিল নানথোইয়ের প্রথম চাকরি। ২০২৩ সালে নানথোই এয়ার ইন্ডিয়ায় বিমান সেবিকা হিসেবে যোগ দেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৯ বছর।

শুধু নানথোই নন, ভয়াবহ এই বিমান দুর্ঘটনায় মণিপুর হারিয়েছে তার আরও এক আকাশ-ছোঁওয়া মেয়েকে। লামলুনথেন সিমসন। ২৬ বছরের লামলুনথেন সিমসন ছিলেন প্রাণবন্ত। ছটফটে। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। তাঁরও মৃত্যু হয়েছে বোয়িং 787-8-এর দুর্ঘটনায়। অদ্ভূতভাবে গোটা মণিপুর যখন দীর্ঘদিন ধরে কুকি-মেইতেই সংঘাতে উত্তপ্ত, তখন এই দুই মেয়ে যেন মৃত্যুতে মিলিয়ে দিয়ে গেল দুই সম্প্রদায়কে। দুজনে ছিলেন একজন কুকি ও অন্যজন মেইতেই সম্প্রদায়ের মেয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.