Jai Shankar, BJP, হামলা হলে পাকিস্তানের যত গভীরেই জঙ্গি ঘাঁটি থাকুক প্রতিশোধ নেওয়া হবে, হুঙ্কার জয় শঙ্করের

সন্ত্রাসী হামলার উস্কানি দিলে ভারত পাকিস্তানের গভীরে গিয়ে আঘাত হানবে। এমনই হুঙ্কার বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। তিনি বলেছেন, পহেলগাঁও হামলার মতো বর্বর কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এবং তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য আলোচনার জন্য ব্রাসেলসের সরকারি সফরের সময় মার্কিন সংবাদ মাধ্যম পলিটিকোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিদেশ মন্ত্রী বলেছেন, “আমরা সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত করবো না। তাই ওদের প্রতি আমাদের বার্তা হল, যদি তোমরা এপ্রিলের মতো বর্বর কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাও তাহলে প্রতিশোধ নেওয়া হবে। সেই প্রতিশোধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এবং জঙ্গিদের নেতৃত্বেই নেওয়া হবে।

জয়শঙ্কর আরো বলেন, “জঙ্গিরা কোথায় আছে তা আমাদের পরোয়া নয়, যদি ওরা পাকিস্তানের ভেতরে থাকে তাহলে আমরা পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকেই মারবো।”

২২ এপ্রিল পেহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। জঙ্গি হামলায় সেদিন ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হয়েছিলেন। ৭মে ভারতীয় সেনা পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে হামলা চালায়। তারপর পাল্টা আঘাত হানে পাকিস্তান। চারদিন ধরে চলে যুদ্ধ। ‌১০মে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা হয়।

এই বিষয়ে পলিটিকোতে জয় শঙ্করের একটি উদ্ধৃতি করে লেখা হয়েছে, “পাকিস্তান এমন একটি দেশ যার জাতীয় নীতি হলো সন্ত্রাসবাদকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা। এটাই সমস্যা।”

পাক হামলায় ক্ষতির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে
জয়শঙ্কর বলেন, ভারতের যুদ্ধ বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতি করেছে। যার জন্যেই পাকিস্তান শান্তির জন্য আর্জি জানাতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, আমার কাছে তার প্রমাণ হলো পাকিস্তানের ধ্বংসপ্রাপ্ত বিমান ঘাঁটি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে জয়শঙ্কর বলেন, ১০ তারিখ সকালে আমরা পাকিস্তানের প্রধান আটটি বিমান ঘাঁটিতে আঘাত হানি। তা নিষ্ক্রীয় করে দেওয়া হয়। আমার কথায় কান দিতে হবে না। গুগলে গেলেই সেই ছবি পাওয়া যাচ্ছে। যে রানওয়ে এবং হ্যাঙ্গারগুলিতে আমরা আঘাত করেছি তা আপনি গুগল থেকে দেখে নিতে পারেন। এরপরেই পাকিস্তানের ডিজিএমও সংঘর্ষ বিরতির আবেদন জানান। তখন দু’পক্ষের কথা হয়ে সামরিক সংঘাত বন্ধ হয়।

ইউরোপে বিদেশ মন্ত্রীর সপ্তাহব্যাপী সফরের সময় তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে জোরদার করছেন এবং সন্ত্রাসবাদীর বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতিকে আবারো তুলে ধরছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.