অনুব্রতের বোলপুরে ‘নারী সম্মান যাত্রা’ শুভেন্দুর, ক্ষমতায় এলে শপথের এক ঘণ্টার মধ্যে কেষ্টকে গ্রেফতার করানোর প্রতিশ্রুতি

অনুব্রত মণ্ডলের অশ্রাব্য বচনের প্রতিবাদে তাঁর শহরেই প্রতিবাদ মিছিল করল বিজেপি। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নেতৃত্ব দিলেন মিছিলে। পুলিশ আধিকারিককে গালিগালাজ এবং হুমকি দেওয়া সত্ত্বেও বীরভূম জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি অনুব্রতকে কেন এখনও গ্রেফতার করা হয়নি, সোমবারের মিছিল থেকে ফের সে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দুরা। তার সঙ্গে ঘোষণা করেছেন যে, ২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি সরকার গড়লে শপথ গ্রহণের এক ঘণ্টার মধ্যে অনুব্রতকে গ্রেফতার করানো হবে।

৩০ মে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু জানিয়েছিলেন যে, ৯ জুন বোলপুরে প্রতিবাদ মিছিল করবেন। বোলপুর থানার আইসির সঙ্গে অনুব্রতের ফোন-কথোপকথনের যে অডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল, তাতে ওই পুলিশ আধিকারিকের পরিবারের মহিলাদের সম্পর্কে অনুব্রতকে অশ্রাব্য কথা বলতে শোনা গিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে পথে নামা হচ্ছে বলে সোমবারের মিছিলের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘নারী সম্মান যাত্রা’। তাতে অংশ নিয়ে প্রথমে মিছিল এবং তার পরে পথসভায় ভাষণ দেন শুভেন্দু।

বোলপুরের ‘নারী সম্মান যাত্রা’য় শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ও। বোলপুর ছাড়াও নানুর, ময়ূরেশ্বর-সহ একাধিক ব্লক থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা জড়ো হয়েছিলেন মিছিলে যোগ দিতে। বোলপুরের ট্যুরিস্ট লজ় মোড় থেকে বিকেল ৫টার পরে মিছিল শুরু হয়। বোলপুর চৌরাস্তায় পথসভার যে মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল, সেখানে গিয়ে মিছিল শেষ হয়। মিছিলে হাঁটতে হাঁটতেই বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, ২০২৬ সালে বিজেপি-ই ক্ষমতায় আসছে। তিনি ঘোষণা করেন, বিজেপি সরকার শপথ গ্রহণ করার পরে ১ ঘণ্টার মধ্যে অনুব্রতকে গ্রেফতার করাবেন।

মিছিল শেষে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন শুভেন্দুই। ভাষণে তিনি অনুব্রতের পাশাপাশি বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকেও আক্রমণ করেন। বীরভূম জেলা পরিষদকে কাজল এবং তাঁর শাগরেদরা হিন্দু ঠিকাদার মুক্ত করার চেষ্টা করছেন বলে শুভেন্দু অভিযোগ করেন। বিজেপির সরকার এলে কাজলের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হবে বলে শুভেন্দু ঘোষণা করেন।

অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের স্লোগানের আদলে সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের স্লোগান বেঁধেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘অন্ধ্রের নির্বাচনে পবন কল্যাণ আর চন্দ্রবাবু নায়ডুর জোট হয়েছিল। সেখানে স্লোগান তোলা হয়েছিল— হ্যালো এপি (অন্ধ্রপ্রদেশ), বাই বাই ওয়াইএসআরসিপি। এ বার পশ্চিমবঙ্গ বলবে— হ্যালো ডব্লুবি (ওয়েস্ট বেঙ্গল), বাই বাই হীরক রানি।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.