দুই দেশের কাছেই ছিল সম্মান রক্ষার লড়াই। ট্রফি জয়ের সুযোগ না থাকলেও উয়েফা নেশন্স লিগে তৃতীয় স্থানের ম্যাচে লড়াইয়ে নেমেছিল জার্মানি এবং ফ্রান্স। কিন্তু সেই ম্যাচে জার্মানির রক্ষণভাগকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হল। ১৯৮৯ সালে জার্মানিতে বার্লিনের প্রাচীর যেমন ভেঙে পড়েছিল, তেমনই রবিবার কিলিয়ান এমবাপেদের বিরুদ্ধে উধাও হয়ে গেল জার্মানির রক্ষণভাগ।
রবিবার ফ্রান্স বনাম জার্মানি ম্যাচের গুরুত্ব তেমন ছিল না। দুই দলই সেমিফাইনালে হেরেছে। ফলে ট্রফি জয়ের ক্ষিদে নেই। মরিয়া ভাব নেই। তার মধ্যেও শুরুতে জার্মানির করিম আদেয়েমি গোল করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন। ফ্রান্সের গোলরক্ষকের গায়ে দু’বার বল মেরে সেই সুযোগ নষ্ট করেন তিনি।
রাতে নেশন্স লিগের ফাইনাল। সেখানে স্পেন এবং পর্তুগাল একে অপরের মুখোমুখি। সব নজর ৪০ বছরের ক্রিশ্চিয়ান রোনাল্ডো এবং ১৭ বছরের লামিনে ইয়ামালের দিকে। তার আগে ফ্রান্স এবং জার্মানির ম্যাচ নিয়ে উৎসাহ ছিল অনেকটাই কম। যদিও ঘরের মাঠে খেলতে নামা জার্মানির জন্য স্টুটগার্ট স্টেডিয়ামে অসংখ্য সমর্থক ভিড় করেছিলেন। তাঁদের হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়তে হল।
প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে গোল করেন এমবাপে। ফ্রান্সের অধিনায়ক চুয়ামেনির থাকা পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয় গোলটিও তিনি করার মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু দেখেন সতীর্থ মিচেল ওলিসে আরও ভাল জায়গায় আছেন। তাই তাঁকে বল পাস করে দেন। অধিনায়কের দেওয়া বল জালে জড়িয়ে দিতে ভুল করেননি ওলিসে। যা ফ্রান্সের জয় নিশ্চিত করে দেয়।
জার্মানিও সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু কখনও রেফারি তাদের পেনাল্টি দেওয়ার পর ভারের সাহায্য তা বাতিল করেন। আবার কখনও গোল করলেও তা বাতিল হয়ে যায় ঠিক তার আগেই ফাউল হওয়ার কারণে। ভাগ্য এবং রক্ষণ, রবিবার দুটোই জার্মানির সঙ্গে ছিল না। গোলরক্ষক টের স্টেগানের সামনে ছিলেন রবিন কচ এবং জোনাথন টাহ। এমবাপের প্রথম গোলের সময় তাঁরা এক লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। দ্বিতীয় গোলের সময়ও ভুল ছিল জার্মানির রক্ষণভাগের। তাঁদের ভুলের সাহায্য কাজে লাগিয়েই ফ্রান্সের জয়। ট্রফি না পেলেও তৃতীয় স্থান নিয়ে খুশি থাকতে হল তাদের।