চন্দ্রভাগা নদীর উপরে তৈরি করা হয়েছে ‘বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু’ অঞ্জী ব্রিজ। তা উদ্বোধন করতে শুক্রবার কাশ্মীরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর হাত ধরে উপত্যকায় নতুন দু’টি বন্দে ভারত ট্রেনেরও সূচনা হতে চলেছে। এই রেলসেতু কাশ্মীরের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের যোগাযোগ আরও দৃঢ় করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কাটরা থেকে শ্রীনগর এবং কাশ্মীর থেকে কাটরা রুটের বন্দে ভারত ট্রেন চলবে। শুক্রবার এই ট্রেনগুলির সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়াও কাশ্মীরে মোট ৪৬ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা মোদীর। কাটরা থেকে এই প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করা হবে। বৈষ্ণো দেবী মন্দিরে যাওয়ার বেস ক্যাম্প কাটরা। বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই কাশ্মীরকে রেলপথে যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। উপত্যকার উধমপুর-বারামুলা-শ্রীনগর সংযোগকারী ২৭২ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে রেললাইন তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করা গিয়েছে।
চন্দ্রভাগা রেলসেতুর (চেনাব ব্রিজ) দৈর্ঘ্য ১.৩ কিলোমিটার। এই সেতু তৈরিতে খরচ হয়েছে ১৪০০ কোটি টাকা। চন্দ্রভাগা নদী থেকে এই সেতুর উচ্চতা ৩৫৯ মিটার (১১৭৭.৮২ ফুট)। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন ছুটতে পারবে এই সেতুর উপর দিয়ে। রিখটার স্কেলে আট মাত্রার ভূমিকম্পও একে টলাতে পারবে না। এই সেতু ১২০ বছর পর্যন্ত টিকে থাকবে বলে দাবি নির্মাতাদের।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। তার পর পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করে ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একাধিক পাক জঙ্গি ঘাঁটি। প্রত্যাঘাতের সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। এর পর টানা চার দিন ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত চলেছে। গত ১০ মে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় দু’পক্ষ। পহেলগাঁও হামলা এবং ‘সিঁদুর’ অভিযান পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রীর কাশ্মীর সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।