পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই কেন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ ডাক্তারি পড়ুয়ার বিরুদ্ধে? রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। ডাক্তারি পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দিল আদালত।
বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরীর বেঞ্চ জানিয়েছে, ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার বিরুদ্ধে সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত থাকবে। তাঁকে পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। প্রসঙ্গত, গত বছর ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট)-য় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এক পরীক্ষার্থীর হয়ে অন্য জন পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর পরে মামলাকারী সুমিত মান্ডোলিয়ার বিরুদ্ধেও অন্য কারও হয়ে পরীক্ষায় বসার অভিযোগ ওঠে।
ওই ঘটনায় তাঁকে প্রথম দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। পরে দেশ জুড়ে ‘নিট’ দুর্নীতির তদন্তে নামে সিবিআই। গ্রেফতারির এক মাসের মাথায় জামিন পেয়ে যান সুমিত নামে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের মামলাকারী ওই পড়ুয়া। আগামী ৯ এবং ১০ জুন তাঁর পরীক্ষা রয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার ক’দিন আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করে। তারা জানায়, ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্তে তাঁর পরীক্ষায় বসার পথে অন্তরায় তৈরি হয়। পরীক্ষায় বসতে চেয়ে তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।
বৃহস্পতিবার সুমিতের আইনজীবী দেবারতি রায়চৌধুরী এবং অর্কদেব বিশ্বাস দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। তাঁদের বক্তব্য, এখন আদালতে গরমের ছুটি চলছে। আজকেই দ্রুত মামলা না শুনলে, ওই পড়ুয়া পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। তাঁরা জানান, ফৌজদারি অপরাধ এখনও প্রমাণিত হয়নি। সেই মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তার ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ কি সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন? পরে যদি দেখা যায় অভিযুক্ত নির্দোষ তখন কী হবে? দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগেই কি শাস্তি দেওয়া যায়? মামলাকারীর আবেদন গ্রহণ করে বিচারপতি বসুচৌধুরী নির্দেশ দেন, ওই ডাক্তারি পড়ুয়াকে পরীক্ষায় বসা থেকে কোনও ভাবেই বিরত করা যাবে না। তাঁকে পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে।