গত এশিয়ান কাপের ব্যর্থতাই এ বার সম্বল, বলছেন ভারতীয় ফুটবল দলের উইঙ্গার ছাংতে

এএফসি এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করার লড়াইয়ে ভারতীয় ফুটবল দল। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ড্র করে বেশ চাপে তারা। ১০ জুন খেলবে হংকংয়ের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে খেলতে নামার আগে গত এএফসি এশিয়ান কাপে খেলার অভিজ্ঞতাকে সম্বল করতে চাইছেন লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতে।

ভারতীয় দলের উইঙ্গার ছাঙতের বিশ্বাস ভারত এ বারের এশিয়ান কাপের মূলপর্বে উঠবে। গত বারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন তিনি এবং তাঁর সতীর্থেরা। গত বারের এশিয়ান কাপেই প্রথম বার বড় মঞ্চে দেখা গিয়েছিল ছাঙতেকে। সে বার মূলপর্বে একটি ম্যাচেও জিততে পারেননি তাঁরা। তবে সেই প্রতিযোগিতা দলকে অনেক কিছু শিখিয়েছে বলে মত ছাঙতের। আইএসএলের ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “গত বার আমাদের গ্রুপে এশিয়ার অন্যতম সেরা দলগুলি ছিল (অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তান ও সিরিয়া)। আমরা কোনও ম্যাচ জিততে পারিনি। তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি অনেক কিছু শিখেছিলাম। বিশেষত প্রয়োজনের সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি হয়েছিল। আমার মনে হয়, সেই ব্যর্থতা আমাদের প্রত্যেককেই আরও ভাল ফুটবলার ও দৃঢ় চরিত্রের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছে। সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই আমরা এ বারের যোগ্যতা অর্জন পর্বে নামব। এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য, আবার এশিয়ান কাপে মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জন করা।”

২৭ বছর বয়সী ছাংতে এই ভারতীয় দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম। এ বারের প্রতিযোগিতায় তিনি নিজের সেরাটা দিতে চান। বলেন, “যে কোনও ফুটবলারের কাছেই জাতীয় দলের হয়ে খেলা সবচেয়ে বড় সাফল্য। যখন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামার সুযোগ পাই আমরা, তখন সর্বস্ব উজাড় করে দেওয়া উচিত। জাতীয় শিবিরে এসে বরাবরই সেই চেষ্টা করি। প্রতি দিন দেশের জন্য নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি।”

এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ভারতের গ্রুপে রয়েছে হংকং, সিঙ্গাপুর এবং বাংলাদেশ। এই পর্বে মোট ২৪টি দলকে ছ’টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষে থাকা দল মূলপর্বে উঠবে। যেখানে ইতিমধ্যেই ১৮টি দল জায়গা পাকা করে ফেলেছে। ভারত রয়েছে ‘সি’ গ্রুপে। এই গ্রুপে ভারতই (১২৬) ফিফা ক্রমতালিকায় সকলের উপরে থাকা দল। হংকং রয়েছে ১৫৫ নম্বরে, সিঙ্গাপুর ১৬০-এ ও বাংলাদেশ ১৮৫। তবে প্রথম ম্যাচেই ভারত হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে। গ্রুপে থাকা অপর দুই দল হংকং ও সিঙ্গাপুর-ও তাদের ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে। ফলে গ্রুপের প্রতিটি দলই একই জায়গায় রয়েছে। ভারতের স্বস্তির কারণ বলতে শুধুমাত্র এটুকুই। তবে হংকংয়ের বিরুদ্ধে আসন্ন ম্যাচে ভারতকে জেতার সংকল্প নিয়েই নামতে হবে। আগামী ১০ জুন হংকংয়ের মুখোমুখি হবে ভারত। সেই ম্যাচের আগে প্রস্তুতি নিতে ৪ জুন তারা তাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.