ট্রফি থেকে এক ম্যাচ দূরে বিরাট কোহলি। ৯ বছর আগে অধিনায়ক কোহলি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে আইপিএলের ফাইনালে তুলেছিলেন। কিন্তু ট্রফি জিততে পারেননি। এ বারে আবার সেই সুযোগ এসেছে। তবে অধিনায়ক নয়, ব্যাটার কোহলির সামনে ট্রফি জয়ের সুযোগ। আর একটি ম্যাচ জিতলেই আঠারো নম্বর আইপিএল ট্রফিটি আঠারো নম্বর জার্সিধারী কোহলির ঘরে ঢুকবে।
বৃহস্পতিবার আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে বেঙ্গালুরু জিতল একপেশে ভাবে। পঞ্জাব কিংসের ব্যাটারেরা ১০১ রানে শেষ হয়ে যাওয়ার পর শ্রেয়স আয়ারদের জেতার আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় ম্যাথু হেডেন সেই ইনিংস শেষে জানান মাঠে শিশির পড়ছে। অর্থাৎ, পঞ্জাবের বোলারদের কাজটাও কঠিন হয়ে যায়। ফলে যা হওয়ার তাই হল। পঞ্জাবের ইনিংস শেষ হয়েছিল ১৪.১ রানে। বেঙ্গালুরু ম্যাচ জিতে নেয় ১০ ওভারে।
পঞ্জাব ১১ বছর পর আইপিএলের প্লে-অফে উঠেছে। এর আগে তারা ২০১৪ সালে ফাইনাল খেলেছিল। সে বার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে হেরেছিল পঞ্জাব। সেই কেকেআর-কে গত বার চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়স। এ বারে তিনি পঞ্জাবের অধিনায়ক। প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারলেও সুযোগ পাবেন শ্রেয়স। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জিতে ফাইনালে উঠে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার সুযোগ পাবেন। তার আগে যদিও এই একপেশে হারের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে হবে শ্রেয়সদের।
এ বারের আইপিএল শুরুর আগে কোহলিকে নিয়ে একটি বিজ্ঞাপন দিচ্ছিল সম্প্রচারকারী সংস্থা। সেখানে দেখানো হচ্ছিল এ বারের ১৮তম আইপিএল জুড়ে রয়েছে কোহলির ১৮ নম্বর। সেটাই সত্যি করে আইপিএলের ফাইনালে উঠলেন কোহলি। বাকি আর একটি জয়। এর আগে তিন বার আইপিএলের ফাইনালে উঠেছিল বেঙ্গালুরু। কিন্তু কখনও ট্রফি জিততে পারেনি। কোহলির ট্রফি ক্যাবিনেটে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থাকলেও তাই আইপিএল নেই। ১৮তম আইপিএল কি ১৮ নম্বর জার্সিধারীর হাতে উঠবে?
বৃহস্পতিবারের ম্যাচে কোহলির তেমন কোনও ভূমিকা নেই। শুরুটা করেছিলেন যশ দয়াল, ভুবনেশ্বর কুমার, জস হেজলউডেরা। তাঁদের দাপটে ১০১ রানে শেষ হয়ে যায় পঞ্জাবের ইনিংস। লজ্জার রেকর্ড গড়েন শ্রেয়সেরা। ১৪.১ ওভারে অল আউট হয়ে যায় গোটা দল। অর্থাৎ, ১২০ বলের মধ্যে ৩৫ বল খেলতেই পারেনি তারা। আইপিএলের প্লে-অফের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও দল এত কম ওভারে অল আউট হল।
পঞ্জাব এবং বেঙ্গালুরু এখনও পর্যন্ত সব বছর আইপিএল খেললেও কখনও ট্রফি জিততে পারেনি। তাই এ বারের কোয়ালিফায়ারে দুই দলেরই মরিয়া লড়াই দেখার অপেক্ষায় মাঠ ভরিয়েছিলেন দর্শকেরা। ম্যাচটি ছিল পঞ্জাবের ঘরের মাঠ চণ্ডীগড়ে। ফলে মাঠ ভরিয়েছিলেন পঞ্জাবের সমর্থকেরা। কিন্তু সেই দর্শকদের সামনে লজ্জার রেকর্ড গড়ে মাঠ ছাড়তে হল পঞ্জাবকে।