আকরিক লোহার খনিতে ব্যবহারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বিপুল পরিমাণ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক। ওড়িশার সুন্দরগঢ় জেলার বাদগাঁও এবং বাঁকোর মধ্যবর্তী পাহাড়ি জঙ্গলে হানা দিয়ে প্রায় ২০০ বস্তা জিলেটিন স্টিক লুট করল মাওবাদীরা!
ছত্তীসগঢ় এবং ঝাড়খণ্ড সীমানায় মাওবাদীদের ওই হামলার পরেই নতুন করে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, তিন রাজ্যের পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ-ও যোগ দিয়েছে অভিযানে। রয়েছে সিআরপিএফের কমান্ডো বাহিনী কোবরা এবং ওড়িশা পুলিশের এসওজি। তবে এখনও পর্যন্ত মাওবাদী দল বা লুট হওয়া বিস্ফোরকের সন্ধান মেলেনি।
বুধবার বিকেলে ওড়িশা পুলিশের ডিজি ওয়াইবি খুরানিয়া, আইজি (অপারেশনস) দীপক কুমার, ডিআইজি ব্রিজেশ রাই, ডিআইজি হিমাংশু লাল এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলা থানায় অন্তর্গত ওই এলাকা পরিদর্শন করতে যান।
বিস্ফোরকবাহী ট্রাকের চালক দেবনাথ টপ্পো, পুলিশকে জানিয়েছেন যে, জঙ্গলের মধ্যে ৩০-৪০ জন সশস্ত্র হানাদার বিস্ফোরক লুট করেন। তাঁরা মাওবাদী স্লোগান দিচ্ছিলেন। গত বুধবার ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনের নারায়ণপুর জেলার অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ২৮ জন সঙ্গী-সহ নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজ ওরফে গগন্নার মৃত্যু হয়েছিল। তার ঠিক এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রত্যাঘাত করল মাওবাদী সশস্ত্র বাহিনী পিএলজিএ-র (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)।