ডায়মন্ড হারবার থানার বাইরেই বিস্ফোরণ! বাজেয়াপ্ত করা কাঁচা বারুদে হঠাৎ আগুন, বৃষ্টির কারণে বড় বিপদ থেকে রক্ষা

ডায়মন্ড হারবার থানার পিছনে আমচকা বিস্ফোরণ। পুলিশ সেখানে কাঁচা বারুদ বাজেয়াপ্ত করে রেখেছিল। তাতেই আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ আচমকা তীব্র শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। তবে বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। দমকল এসে কিছু ক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর নেই। মনে করা হচ্ছে, বৃষ্টির কারণেই বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে

ডায়মন্ড হারবার থানার পিছন দিকে একটি পুকুর রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সকালে বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কিছু বিস্ফোরক পদার্থ, কাঁচা বারুদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেগুলি থানার মালখানায় না-রেখে পিছন দিকে পুকুরের ধারে রেখে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় আচমকা সেখানে আগুন ধরে যায় এবং প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। কী ভাবে আগুন লাগল তা স্পষ্ট নয় এখনও।

২০ থেকে ২৫ কিলোগ্রাম বাজেয়াপ্ত করা বিস্ফোরক পদার্থ (মূলত কাঁচা বারুদ) থানার পিছনে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবার থানার আইসি অমরজিৎ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন জায়গা থেকে বিস্ফোরক পদার্থ বাজেয়াপ্ত করে এনে পুকুরপাড়ে রাখা হয়েছিল। বম্ব স্কোয়াড ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সন্ধ্যায় জলের পাশে হঠাৎ করেই বিস্ফোরণ। টানা বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বাজ পড়ে এই ঘটনা ঘটেনি। বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কারও আঘাত লাগেনি। থানারও ক্ষতি হয়নি। আশপাশে আরও মশলা রাখা আছে। আমরা দমকলকে খবর দিই। তারা এসে আগুন নিভিয়ে দিয়েছে।’’ ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অ্যাডিশনাল সুপার মিতুন দে বলেন, ‘‘সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে একটি বিস্ফোরণ হয়েছে। কারও আঘাত লাগেনি, কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।’’

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘যেমন এলাকা, তেমন থানা, অনুরূপ ঘটনা! ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে এই অবৈধ বিস্ফোরক মজুত করা হচ্ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখার দাবি জানাচ্ছি।’’ বিস্ফোরণে ডায়মন্ড হারবার থানা প্রায় ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু। পুলিশ যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, থানায় বিস্ফোরণের কোনও আঁচড়ই লাগেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.