COVID 19 Cases In Kolkata: কলকাতাতেও করোনা হানা! বঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা কত জানেন? ফের ছোবল মারণ ভাইরাসের…

গোটা দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে দাপাচ্ছে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়ান্ট JN1 COVID-19। এটি হল ওমিক্রমের সাব ভ্যারিয়ান্ট। চিন, হংকং, সিঙ্গাপুর ও ভারতে দ্রুত ছড়াচ্ছে এই ভ্যারিয়ান্ট। নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। আবার কি তবে দেশে ফিরতে চলেছে সেই ভয়াবহ দিন! ফের গিলছে সেই দৈত্য ভাইরাস। 

দেশে কোভিডের চিত্র

ইতিমধ্যেই ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়ে গেল। সোমবার (২৬ মে, ২০২৫) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সূত্র অনুযায়ী, ভারতে বর্তমানে করেনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সক্রিয় কোভিড কেসের সংখ্যা ১০১০। উদ্বেগ বাড়িয়ে দেশে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। মহারাষ্ট্রের থানেতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক ২১ বছর বয়সী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে ৮৪ বছরের এক বৃদ্ধেরও করোনায় মৃত্যু হয়েছে। তাঁর কো-মরবিডিটিও ছিল। কর্নাটকে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ ছুঁই ছুঁই। তার মধ্যে বেঙ্গালুরুতে আক্রান্তের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। ভিন রাজ্যের যেমন করোনা আক্রান্তের খবর প্রতি মুহূর্তে আসছে, তেমনই বঙ্গেও কিন্তু করোনা ফনা তুলেছে। 

বাংলায় কোন হাসপাতালে কতজনের রিপোর্ট পিজিটিভ এসেছে:

১. ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন -২ (বাড়িতে আইসোলেশনে)
২.কলকাতা মেডিকেল কলেজ -২ (হাসপাতালে ভর্তি আইসোলেশন ওয়ার্ডে )
৩.অ্যাপোলো হাসপাতাল -৬ (হাসপাতালে ভর্তি, আইসোলেশন ওয়ার্ডে )
৪.বিধান নগর বেসরকারি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার -৫ (বাড়িতে আইসোলেশনে)
৫.কাঁকুরগাছি বেসরকারি হাসপাতাল -১ (হাসপাতালে ভর্তি, আইসোলেশন ওয়ার্ডে)
৬.পিয়ারলেস হাসপাতাল -১ (হাসপাতালে ভর্তি)

হাসপাতাল থেকে করোনা মুক্তি:
১.বেলভিউ ক্লিনিক – এক জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
২.মগরাহাটের ২ জন করোনা মুক্ত

(এই মুহুর্তে বাংলায় করোনা আক্রান্তের সক্রিয় সংখ্যা ১৭ জন)

কোভিড গাইডলাইন

দেশে করোনার (Coronavirus) বাড়বাড়ন্ত শুরু হতেই কেরানা, অন্ধ্রপ্রদেশে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়। জারি করা হয় গাইডলাইন (Covid Guideline)। এবার একই পথে হাঁটল কর্নাটক সরকারও। সর্দি-কাশি, জ্বর-শ্বাসকষ্টের মতো করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেইসঙ্গে শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী ও প্রসূতিদের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক (Mask Mandatory) করা হয়েছে। বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুতে বলা হয়েছে। হাসপাতালগুলিকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

সংক্রমণের নেপথ্যে ২ সাব-ভ্যারিয়েন্ট

পরীক্ষায় উঠে এসে দেশে সংক্রমণের নেপথ্যে মূলত করোনার দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট NB.1.8.1 এবং LF.7। WHO জানাচ্ছে মিউটেশন হয়ে NB.1.8.1-এর স্পাইক প্রোটিনে থাকা A435S, V445H, এবং T478I – যা সংক্রমণতাকে বাড়িয়ে তুলেছে। সেইসঙ্গে ভাইরাসকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এড়াতেও সাহায্য করছে। তবে নয়া এই সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ হার বেশি হলেও, তা মৃত্যু হার (Covid Death) বাড়াবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রাথমিক উপসর্গ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা (Covid NB.1.8.1 symptoms)

NB.1.8.1 সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে রয়েছে গলা ব্যথা, কাশি, সর্দি, জ্বর, বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা, মাথায় যন্ত্রণা, পেশীর ক্লান্তি ও দুর্বলতা ইত্যাদি। সংক্রমণের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি কারও বুস্টার ডোজ নেওয়া বাকি থাকে, তাহলে সেটি নিয়ে নিন। ভিড় এড়িয়ে চলুন। দরকারে মাস্ক পরুন। সাবান বা স্যানিটাইজারের সাহায্য়ে হাত পরিচ্ছন্ন রাখুন। উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশনে থাকুন ও চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.