আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্যে আসছেন মোদী, জোড়া কর্মসূচি আলিপুরদুয়ারে, জনসভার মাঠ ঘুরে দেখলেন বিজেপি নেতারা

আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই দিন আলিপুরদুয়ার জেলায় জোড়া কর্মসূচিতে যোগ দেবেন তিনি। প্রশাসনিক সভায় যোগ দেওয়ার পাশাপাশি একটি জনসভাও করবেন আলিপুরদুয়ার প‍্যারেড গ্রাউন্ড ময়দানে। বৃহস্পতিবার সকালে সভাস্থল ঘুরে দেখেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মণ এবং আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিগ্গা। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির অন্য নেতারাও।

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে এখনও বেশ খানিকটা দেরি। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের কারণ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। বিশেষত ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং ভারত-পাক সামরিক সংঘাতের পর প্রধানমন্ত্রীর এই বঙ্গ-সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, প্রশাসনিক সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, বিভিন্ন রাজ্যের জন্য একাধিক প্রকল্পের সূচনা করবেন। তবে প্রশাসনিক সভাটি কোথায় হবে, তা স্পষ্ট নয়। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় দেখছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।

তবে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না বিজেপি। মোদীর আলিপুরদুয়ারে আসার কারণ ব্যাখ্যা করে বিজেপি নেতা তথা ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বলেন, “অপারেশন সিঁদুর-পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এখানে একটি প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজনৈতিক সভাটির প্রস্তুতির দায়িত্বে আমরা রয়েছি। সেই প্রস্তুতি আমরা আজ থেকেই শুরু করে দিলাম।”

কিন্তু আলিপুরদুয়ারকেই কেন বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী? এই প্রশ্নের উত্তরে দীপক বলেন, “আলিপুরদুয়ারের এক দিকে সেভেন সিস্টার্স অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য। অন্য দিকে গুরত্বপূর্ণ ‘চিকেনস নেক’। আলিপুরদুয়ারই উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশপথ। তাই আন্তর্জাতিক ভাবে এই অঞ্চল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে আমাদের মনে হয়।”

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর রাজস্থানে জোড়া কর্মসূচি রয়েছে। ২৯ মে আলিপুরদুয়ারে ঠিক তেমনই কর্মসূচি হতে চলেছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবার রাজস্থানের পাক সীমান্তবর্তী জেলা বিকানেরে মোদীর কর্মসূচি রয়েছে। প্রথমে দেশনোক স্টেশনে প্রশাসনিক সভা করবেন তিনি। সেখান থেকেই দেশের মোট ১০৩টি অমৃত স্টেশনের উদ্বোধন করার কথা তাঁর। তার পরে করণী মাতার মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেখান থেকে যাবেন বিকানের শহরের নিকটবর্তী একটি গ্রামে। সেখানেই জনসভা করবেন তিনি। আলিপুরদুয়ারের কর্মসূচিও ঠিক এই ধাঁচেই সাজানো হচ্ছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.