পাকিস্তানের এফ ১৬-সহ তিন যুদ্ধবিমান ধ্বংস করল ভারতের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’! বানচাল করে দেওয়া হল ড্রোন হামলাও

পাকিস্তানের এফ ১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে দিল ভারতের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম)। বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান এবং পঞ্জাবের কয়েকটি জায়গায় পর পর হামলায় চালায় পাকিস্তানি সেনা। সেই হামলাই প্রতিহত করেছে ভারত। পাল্টা আঘাতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের এফ ১৬ যুদ্ধবিমান। ধ্বংস করা হয়েছে পাকিস্তানের দু’টি জেএফ ১৭ যুদ্ধবিমানও। ড্রোনের মাধ্যমেও হামলা চালানো হয়েছিল। তা-ও প্রতিহত করা হয়েছে। আখনুরে একটি ড্রোনকে গুলি করে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

এফ ১৬ যুদ্ধবিমান আমেরিকা তৈরি করে। আমেরিকার থেকেই এই যুদ্ধবিমান কেনে পাকিস্তান। ১৯৯৪ সালে বিল ক্লিন্টন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি হয় এফ-১৬ সংক্রান্ত। অনেক বিতর্কও ছিল এ নিয়ে। সেই সময়ের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-১৬ ২০১৬ সালে পাকিস্তানকে প্রথম বিক্রি করে আমেরিকা। এটি তৈরি করে লকহিড মার্টিন। কিন্তু অনেকের দাবি, আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে ওই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করার কথা নয় পাকিস্তানের। শুধুমাত্র জঙ্গি দমনেই তা ব্যবহার করার কথা। এই একই বিতর্ক তৈরি হয়েছে পুলওয়ামা কাণ্ডের পরেও। সে বারেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এফ ১৬ ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিল ভারত। পাকিস্তান অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।

বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের মোট আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ভারত ধ্বংস করেছে। পাক হামলার নিশানায় ছিল মূলত জম্মু বিমানবন্দর, সাম্বা, আরএস পুরা, আরিনা এবং সংলগ্ন এলাকা। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ দিয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আটকানো হয়েছে বলে খবর।

সমগ্র জম্মু শহরে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জম্মু বিমানবন্দর, পঠানকোটের বায়ুসেনার ঘাঁটিতে সাইরেন বাজছে। সাইরেনের শব্দ শোনা গিয়েছে বারামুলা, কুপওয়ারার মতো এলাকাতেও। এ ছাড়া শহরের নানা প্রান্ত থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে।

শুধু জম্মু নয়, সীমান্ত সংলগ্ন পঞ্জাবের বিভিন্ন অংশেও ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে। পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের ডেপুটি কমিশনার আশিকা জৈন জানিয়েছেন, বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শহরে ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত ‘ব্ল্যাকআউট’ চলবে। অমৃতসরেও ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.