পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Terror Attack) জঙ্গি হামলায় সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঙালি অধ্যাপককে বাঁচিয়ে দিল ‘কলমা’। ‘কলমা’ পড়েই সস্ত্রীক বেঁচে ফিরলেন অসম বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেবাশিস ভট্টাচার্য।
2/8
‘কলমা’ বাঁচাল প্রাণ!

কী হয়েছিল সেদিন? মঙ্গলবার দুপুরে হামলার সময় বৈসরনে একটি গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন দেবাশিসবাবু। হটাৎ শুনতে পান আশপাশে সবাই ‘কলমা’ পড়ছে।
3/8
‘কলমা’ বাঁচাল প্রাণ!

কিছুটা জানা থাকায় তিনিও পড়তে শুরু করেন। দেখতে পান ছদ্মবেশে থাকা এক জঙ্গি রাইফেল উঁচিয়ে এসে তাঁর পাশে শুয়ে থাকা এক ব্যক্তিকে গুলি করে।
4/8
‘কলমা’ বাঁচাল প্রাণ!

দেবাশিসবাবু বলেন, “একজন সন্ত্রাসী আমাদের দিকে এগিয়ে এসে মাথায় বন্দুক ধরে জিজ্ঞাসা করল, ‘কেয়া কর রহে হো?’ আমি আরও জোরে কলমা পাঠ করলাম। সে মুখ ফিরিয়ে চলে গেল।”এরপর সুযোগ বুঝে, চুপচাপ উঠে তার স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যান দেবাশিসবাবু।
5/8
‘কলমা’ বাঁচাল প্রাণ!

অধ্যাপক বলেন, ‘আমরা উপরে উঠেছিলাম, বেড়া পার হয়েছিলাম এবং প্রায় দুই ঘন্টা ধরে হাঁটতে থাকি, পথে ঘোড়ার খুরের চিহ্ন অনুসরণ করে ঘোড়া সহ একজন আরোহীর সঙ্গে দেখা করি এবং আমাদের হোটেলে ফিরে আসতে সক্ষম হই।’
6/8
‘কলমা’ বাঁচাল প্রাণ!

মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরণে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ২৭ জনের। এর মধ্যে ২৬ জনই পর্যটক। যার প্রায় সবাই হিন্দু।
7/8
‘কলমা’ বাঁচাল প্রাণ!

অভিযোগ, জঙ্গিরা পরিচয় নিশ্চিত করে অমুসলিমদেরই একমাত্র গুলি করে হত্যা করে। ধর্ম পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য অনেককেই ‘কলমা’ পড়তে নির্দেশ দেয় জঙ্গিরা।
8/8
‘কলমা’ বাঁচাল প্রাণ!
