জম্মু-কাশ্মীরে ছুটি কাটাতে গিয়েছিল কর্নাটকের এক পরিবার। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় মঞ্জুনাথ রাওয়ের। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন স্ত্রী পল্লবী এবং তাঁদের পুত্র। কর্নাটকের শিবমোগ্গার বাসিন্দা পল্লবীর দাবি, অতর্কিত তাঁদের আক্রমণ করে তিন থেকে চার জন। তাঁর স্বামীকে খুন করার পর ওই চার জনের এক জন বলে, ‘‘তোকে মারব না। যা, মোদীকে গিয়ে বল।’’
মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিহানায় অন্তত ২৫ জন পর্যটকের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তবে স্থানীয় কয়েকটি সূত্র জানাচ্ছে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৮। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মঞ্জুনাথ। তাঁর স্ত্রী পল্লবী জঙ্গিহানার বিবরণ দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন বার বার। তিনি বলেন, ‘‘স্বামী-ছেলের সঙ্গে কাশ্মীর বেড়াতে এসেছিলাম। দুপুর দেড়টা নাগাদ আমরা ছিলাম পহেলগাঁওয়ে। আচমকা তিন-চার জন বন্দুক হাতে আমাদের দিকে এগিয়ে আসে। নাম জিজ্ঞাসা করে গুলি চালায় ওরা।’’
পল্লবীর দাবি, আততায়ীরা বেছে বেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের খুন করছিল। চোখের সামনে স্বামীকে লুটিয়ে পড়তে দেখে পল্লবী আততায়ীদের বলে তারা যেন তাঁকেও মেরে দেন। কিন্তু সেটা করেনি জঙ্গিরা। পল্লবীর কথায়, ‘‘আমি ওদের কাঁদতে কাঁদতে বললাম, স্বামীকে মেরে দিয়েছ। আমাকেও মেরে ফেলো। ওদের একজন বলল, ‘না, তোমায় মারব না। এইটা মোদীকে (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) গিয়ে বোলো।’’ পল্লবী জানান, তাঁদের উপর আক্রমণের পরে স্থানীয়েরাই উদ্ধার করেছেন। স্বামীর দেহ যাতে বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন, সেই আবেদন করেছেন কর্নাটকের পল্লবী।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার নিন্দা করে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তিনি জানান, কন্নড়বাসীরা এই আক্রমণের লক্ষ্য ছিল। তিনি এই ঘটনার কথা শোনামাত্র প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। পোস্টে লেখেন, ‘‘কর্নাটকের যে বাসিন্দারা এই জঙ্গিহানায় আক্রান্ত, তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারের পাশে আমরা আছি।’’