Deputation, BDO office, একাধিক দাবিতে বিডিও অফিসে বন্যা প্রতিরোধ কমিটির ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি

আগামী বর্ষার পূর্বেই নিউ কাঁসাইয়ের ভেঙ্গে যাওয়া নদীবাঁধের জদরা- পুরুষোত্তমপুর- মানুর- উদয়পুর প্রভৃতি স্থানে গত বর্ষায় ভেঙ্গে যাওয়া অংশগুলি শক্তপোক্তভাবে নির্মাণ, পাঁশকুড়া স্টেশন বাজার সংলগ্ন এলাকার সুষ্ঠু জল নিকাশী সমস্যার সমাধানে মাস্টার ড্রেনেজ স্কিম রূপায়ণ, বর্ষার পূর্বেই জয়গোপাল, কামিনা সহ সোয়াদিঘি খালের পূর্ণাঙ্গ সংস্কার, ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের গোবিন্দনগর গ্রাম পঞ্চায়েত সংলগ্ন মৌজাগুলির জলনিকাশী সমস্যা সমাধানে জাতীয় সড়ক বরাবর নাসা খালের ভেতর অবৈধ নির্মাণ উচ্ছ্বেদ করে নাসা খাল পূর্ণাঙ্গ সংস্কার, মজে যাওয়া বেহুলা নদী সংস্কার সহ বন্যা পরিস্থিতির সময় কংসাবতীর খানিকটা জল মেদিনীপুর ক্যানেল দিয়ে সরাসরি রূপনারায়ণে ফেলার দাবিতে ২৫ মার্চ পাঁশকুড়া বন্যা প্রতিরোধ ও খাল সংস্কার সংগ্রাম সমিতির পক্ষ থেকে বিডিও অফিসে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সমিতির উপদেষ্টা নারায়ণ চন্দ্র নায়ক, সভাপতি কল্যাণ রায়, সম্পাদক দীপঙ্কর মাইতি ও সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য লক্ষ্মীকান্ত সাঁতরা প্রমুখ।

বিডিও প্রতিনিধি দলকে জানান, কাঁসাই নদীর ৪ জায়গায় ভেঙ্গে যাওয়া নদীবাঁধের উদয়পুরে পূর্ণাঙ্গ বাঁধ নির্মাণের কাজ প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। গড় পুরুষোত্তমপুর- জদরা- মানুর এই তিন জায়গায় নদীবাঁধ বাধার কাজ গত সপ্তাহে শুরু হয়েছে। অন্যান্য দাবিগুলির যৌক্তিকতা স্বীকার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন বিডিও অমিত কুমার মন্ডল।

সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়পুরুষোত্তমপুরে ১০০ মিটার ভেঙ্গে যাওয়া নদীবাঁধ নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫৬৭ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জদরাতে ৯৫ মিটার ভেঙ্গে যাওয়া নদীবাঁধ নির্মাণের জন্য ৩ কোটি ১৬ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬০৯ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মানুরে ১২৫ মিটার ভেঙ্গে যাওয়া নদীবাঁধ নির্মাণের জন্য ৩ কোটি ৪১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫৫৯ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ঠিকাদার গড়পুরুষোত্তমপুরে ৬২ শতাংশ, জদরায় ৬১.৬১ শতাংশ, মানুরে ৬২ শতাংশ ছাড়ে কাজ ধরেছে। উদয়পুরে ৫০ মিটার ভেঙ্গে যাওয়া নদীবাঁধ নির্মাণের জন্য আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। সর্বসাকুল্যে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। ১৯ মার্চ একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের স্বাক্ষরিত ওই কাজের ওয়ার্ক অর্ডারে কাজের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে দু’ মাস।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ৬২% ছাড়ে ধরা বাঁধ নির্মাণের কাজে কতটা গুণমান বজায় থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিডিও’র নিকট ডেপুটেশনের পূর্বে নদীবাঁধের ভাঙ্গা অংশগুলির কাজ খতিয়ে দেখতে বন্যা প্রতিরোধ কমিটির ওই প্রতিনিধি দল জদরা, পুরুষোত্তমপুর প্রভৃতি স্থান পরিদর্শনে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.