EXPLAINED | Why Heat Wave in Spring: কেন মধুর বসন্তেই ভয়ংকর দাবদাহের মতো পরিস্থিতি? কেন বাংলায় এখনই ‘লু’-র চোখরাঙানি?

কার্যত উলটপুরাণ জাতীয় আবহাওয়ায় ( National Weather)। বরাবর শুষ্ক থাকা দিল্লি-সহ উত্তর-পশ্চিম ভারতে এখন প্রচুর জলীয় বাষ্প। জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ, মুজফফরাবাদ, হিমাচলে মার্চে অকাল বৃষ্টির সম্ভবনা বাড়ছে। তার প্রভাব পড়ছে বঙ্গেও।

আসলে জলীয় বাষ্প উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে ছোটনাগপুর মালভূমি পেরিয়ে বিহার হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করার কথা। কার্যক্ষেত্রে কিন্তু হচ্ছে উল্টো। উত্তর-পশ্চিম ভারতেই সমস্ত জলীয় বাষ্প থেকে যাচ্ছে। বাকি উষ্ণ বাতাস এগিয়ে আসছে পূর্ব দিকে। বঙ্গে প্রবেশের সময় তার মধ্যে আর জলীয় বাষ্প কিছু থাকছে না। ফলে, এই মার্চেই বইছে তপ্ত গরম হাওয়া। 

সঙ্গে আসাম থেকে রাজস্থান পর্যন্ত রয়েছে এক ঘূর্ণাবর্ত। ওদিকে ভুবনেশ্বর থেকে মালদহ পর্যন্ত রয়েছে দ্বিতীয় ঘূর্ণাবর্ত। এর জেরে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি, দক্ষিণে তীব্র গরম। এতটাই গরম যে, আশঙ্কা, দোলের দিনে কলকাতার পারদ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর অতিক্রম করে ৩৬ ডিগ্রির ঘরেও প্রবেশ করতে পারে! ভাবা যায়! পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় দোলের দিনে পারদ ৩৭ ডিগ্রি অতিক্রম করে ৩৮-এর ঘরে পা রাখতে পারে বলেও আশঙ্কা।

কলকাতায় এই মুহূর্তে দিনের সর্বোচ্চ স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি। পশ্চিমাঞ্চলে এই মুহূর্তে দিনের সর্বোচ্চ স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের তুলনায় ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা না বাড়লে খাতায়-কলমে তাকে তাপপ্রবাহ বলা যায় না। কিন্তু দোলের দিনে ‘ফিল লাইক’ বা তাপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি অনুভূত হতে পারে বলে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.