চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেরা একাদশ বাছল আইসিসি, নেই রোহিত, ভারতের ক’জন সুযোগ পেলেন?

রবিবার শেষ হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ফাইনালে নিউ জ়‌িল্যান্ডকে চার উইকেটে হারিয়েছে ভারত। সোমবার সেই প্রতিযোগিতার সেরা দল বেছে নিল আইসিসি। এক জন-দু’জন নয়, মোট পাঁচ জন ভারতীয় সুযোগ পেয়েছেন ১১ জনের দলে। অতিরিক্ত হিসাবে যে ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে তিনিও ভারতীয়।

বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আয়ার, কেএল রাহুল, বরুণ চক্রবর্তী এবং মহম্মদ শামি রয়েছেন মূল দলে। অক্ষর পটেলকে রাখা হয়েছে দ্বাদশ ব্যক্তি হিসাবে। রানার্স নিউ জ়িল্যান্ড দলের থেকে সুযোগ পেয়েছেন চার জন। তার মধ্যে প্রতিযোগিতার সেরা ক্রিকেটার রাচিন রবীন্দ্র রয়েছেন। এই দলের অধিনায়ক করা হয়েছে মিচেল স্যান্টনারকে। আফগানিস্তানের দু’জন ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন।

ওপেনার হিসাবে রোহিত নেই। কারণ ফাইনাল বাদে বাকি চারটি ম্যাচে খুব একটা রান করতে পারেননি। দু’টি শতরান করা রাচিন রয়েছেন ওপেনার হিসাবে। ২৬৩ রান নিয়ে তিনিই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১১২ রান দলকে জিতিয়েছে। সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১০৮ রান করেছিলেন।

রাচিনের সঙ্গে রয়েছেন ইব্রাহিম জ়াদরান। আফগানিস্তানে সেমিফাইনালে না গেলেও জ়‌াদরান আলাদা করে নজর কেড়েছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর ১৭৭ রান প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান।

কোহলি রয়েছেন তিনে। রান সংগ্রাহকদের তালিকায় ২১৮ রান নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন তিনি। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৪ করেন। দু’টি ক্ষেত্রেই তাঁর ইনিংসে ভর করে দল জিতেছে।

বেশ কিছু ম্যাচে ভারতের মিডল অর্ডারকে ভরসা দিয়েছেন শ্রেয়স এবং রাহুল। আইসিসি-র দলেও মিডল অর্ডারে তাঁদেরই বেছে নেওয়া হয়েছে। শ্রেয়স ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি (২৪৩) রান করেছেন। রাহুল করেছেন ১৪০। সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল, দু’টি ম্যাচেই কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন রাহুল।

ছ’নম্বরে রয়েছেন গ্লেন ফিলিপ্স। ব্যাটিং এবং ফিল্ডিং, দু’টিতেই তিনি দারুণ। দরকারে স্পিন বলও করে দিতে পারেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁর তিনটি ক্যাচ ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে। তার মধ্যে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে উড়ে গিয়ে কোহলির ক্যাচ নিয়েছিলেন।

জ়াদরানের পর আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ক্রিকেটার আজমাতুল্লাহ ওমরজ়াই। ব্যাট, বল দুই ক্ষেত্রেই অবদান রেখেছেন। সাতটি উইকেটের পাশাপাশি ১২৬ রান করেছেন। স্যান্টনার প্রতিযোগিতায় ন’টি উইকেট নিয়েছেন। তবে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাঁর উইকেট নেওয়ার দক্ষতা বাকিদের থেকে এগিয়ে রেখেছে।

দীর্ঘ দিন পর চোট কাটিয়ে ফেরা শামি প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই সেরা দলে সুযোগ পেয়েছেন। তিনিও ন’টি উইকেট পেয়েছেন। চোটের কারণে ফাইনালে খেলতে না পারলেও ১০ উইকেট নেওয়া ম্যাট হেনরি প্রথম এগারোয় রয়েছেন। তালিকার সর্বশেষ নাম বরুণ চক্রবর্তী। মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলে ন’উইকেট নিয়েছেন। তাঁর ঘূর্ণি বুঝতে নাজেহাল হয়েছেন বিপক্ষ ব্যাটারেরা।

পুরো দল: রাচিন রবীন্দ্র, ইব্রাহিম জ়াদরান, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটকিপার), গ্লেন ফিলিপ্স, আজমাতুল্লাহ ওমরজ়‌াই, মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), মহম্মদ শামি, ম্যাট হেনরি এবং বরুণ চক্রবর্তী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.