আর্থিক সঙ্কটে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইডেট। পরিস্থিতি এতটাই কঠিন যে প্রায় ২০০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ফুটবলার ছাড়া সবাইকে এ বার থেকে মধ্যাহ্নভোজ কিনে খেতে হবে।
বড় প্রতিযোগিতাগুলিতে টানা ব্যর্থতায় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ‘ব্র্যান্ড ভ্যালু’ কমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মহম্মদ রিজ়ওয়ান, বাবর আজ়মদের ব্যর্থতার খেসারত দিতে হতে পারে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকেও (পিসিবি)। একাধিক স্পনসর হারাতে পারে তারা। অর্থ সঙ্কটে থাকা পিসিবি আরও চাপে পড়ে গিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে পাকিস্তান ছিটকে যেতে। প্রত্যাশিত সাফল্য না থাকলে স্পনসর, বিজ্ঞাপনদাতাদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। একই সমস্যার মুখোমুখি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের মতো ক্লাবও।
পরিস্থিতি সামলাতে ব্যাপক ব্যয় সঙ্কোচের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ। টানা পাঁচ বছর আর্থিক ক্ষতির ধাক্কা সামলাতে একাধিক কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। প্রায় ২০০ কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এত দিন ক্লাবের সব কর্মী ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্যান্টিনে বিনামূল্যে মধ্যাহ্নভোজ করতে পারতেন। সেই সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এখন থেকে শুধু ক্লাবের ফুটবলারেরা ক্যান্টিন থেকে বিনামূল্যে খাবার পাবেন। কর্মীরা বিনামূল্যে প্রতি দিন শুধু একটি করে ফল পাবেন। দলের সঙ্গে যুক্ত অন্য কর্মীরা বিনামূল্যে পাবেন স্যুপ এবং রুটি। সপ্তাহান্তে ক্যান্টিন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার কথাও ভাবা হয়েছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষের আশা এ ভাবে তাঁরা বছরে ১০ লাখ পাউন্ড (ভারতীয় মূল্যে প্রায় ১১ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা) খরচ কমাতে পারবেন।
গত বছর থেকেই খরচ কমানোর পথে হাঁটতে শুরু করেছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। গত বছর প্রায় ২৫০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করেছিলেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। আয় বাড়াতে বৃদ্ধি করা হয়েছিল টিকিটের দাম। সব চেয়ে কম দামের টিকিট ৪০ পাউন্ড (প্রায় ৪৪১৭ টাকা) থেকে বাড়িয়ে ৬৬ পাউন্ড (প্রায় ৭২৯০ টাকা) করা হয়।
এ বারের ইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় ১৫তম স্থানে রয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। ২৬টি ম্যাচের ১২টিতে তারা হেরেছে। ২০১২-২৩ মরসুমের পর আর ইপিএল চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ম্যান ইউ।