রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরিকাহত হলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব এক মহিলা। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা থানার রাজেন্দ্রচক গ্রামের। ওই মহিলাকে মঙ্গলবার আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
রজেন্দ্রচক গ্রামের বাসিন্দা কাজলমণি প্রামাণিক রাতে ঘরেই ঘুমিয়েছিলেন। রাত প্রায় ১টা নাগাদ চিৎকারে প্রতিবেশীদের ঘুম ভাঙে। প্রতিবেশীরা ওনার বাড়িতে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। যদিও বাড়িতে ছিলেন মহিলার বৌমা ও নাতনি। কি কারণে তিনি ছুরিকাহত হয়েছেন সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। আহত কাজল প্রামাণিকও এই বিষয়ে অন্ধকারে। এই ঘটনার পিছনে কোনও পুরনো শত্রুতা, নাকি এর পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক কারণ তা নিয়ে ধন্দে এলাকাবাসী। তবে মহিলার গোটা শরীরে প্রায় সাত থেকে আট জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
আহত অবস্থাতেই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাজলমণিদেবী জানান, একজন এসে হঠাৎই তাকে মারধর শুরু করে, কিন্তু মারধরের সঠিক কারণ কী তা তিনি কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। তার স্বামী ও ছেলে মৎস্যজীবী, তারা কেউই বাড়িতে ছিলেন না। দু’জনেই সমুদ্রে মাছ ধরতে গেছেন। পুরো বিষয়টি এগরা থানায় মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। এখন আহত কাজলমণির চিকিৎসার জন্য পরিবারের সকলেই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।