বিয়ে বিতর্কের পর ফের শিরোনামে হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম বিশ্ববিদ্যালয় বা ম্যাকাউট! বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচতলা থেকে এবার ঝাঁপ দিলেন এক ছাত্রী। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সক। কীভাবে পাঁচতলায় পৌঁছে গেলেন? কেন-ই-বা ঝাঁপ দিলেন? তা স্পষ্ট নয় এখনও।
জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচতলা থেকে যিনি ঝাঁপ দিয়েছেন, তিনি এমটেকের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আজ, সোমবার পরীক্ষা ছিল। কিন্তু পরীক্ষার পরেও মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকেরা। শেষপর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। শুরু হয় খোঁজাখুজি। যে বিল্ডিংয়ে পরীক্ষা ছিল, সেই বিল্ডিংয়েই একটি ব্যাগ পাওয়া যায়। সেই ব্যাগের সূত্রে ধরেই বিল্ডিংয়ের নীচে ছাত্রীরও খোঁজ মেলে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হরিণঘাটা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে তাঁর সহপাঠীরাই। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, হাসপাতালে নিজস্ব অ্যাম্বুল্যান্স থাকা সত্ত্বেও সেই ছাত্রীকে ওই অ্যাম্বুল্য়ান্সে নিতে পারেননি তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয় ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তারক্ষীরা থাকেন। রয়েছে সিসিটিভি-ও। তাহলে কীভাবে ওই ছাত্রী পাঁচতলায় উঠে গিয়ে ঝাঁপ দিলেন? সেই প্রশ্নও উঠেছে।
এর আগে, ম্যাকাউটে ক্লাসরুমেই প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ‘বিয়ে’ করেছিলেন খোদ বিভাগীয় প্রধান! ভাইরাল ভিডিয়োতে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল, পান পাতা নিয়ে শুভদৃষ্টি হচ্ছে শিক্ষিকা-ছাত্রের। পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সকলেই। যেন একদম একটা বিয়ে বাড়ি। দুজনের গলাতেই বিয়ের মালা। শিক্ষিকা পরেছেন বেনারসি শাড়ি এবং ছাত্র পাত্র পরেছেন সবুজ রঙের হুডি। সাধারণ পোশাক পরে রয়েছেন দুজনেই। এমনকী, বাদ যায়ন সিঁদুরদানও! বিতর্কের মুখে শেষপর্যন্ত ইস্তফা দেন ওই অধ্যাপিকা।