কেজরীর ‘শিশমহল’ আর সংলগ্ন জমি অন্য কাজে লাগুক, উপরাজ্যপালকে চিঠি দিল দিল্লি বিজেপি

বিজেপির দাবি, দিল্লি সরকারের আরও চারটি বাড়ির জমি ‘দখল’ করে ৬ নম্বর ফ্ল্যাগস্টাফ রোডের বাংলোর সঙ্গে মিলিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল তৈরি করিয়েছিলেন নিজের বাসস্থান ‘শিশমহল’। ‘দখল’ করা সেই জমি এবং বাড়ি বিচ্ছিন্ন করে আবার সরকারি কাজেই ব্যবহার করা হোক। দিল্লির উপরাজ্যপাল (লেফটেন্যান্ট জেনারেল) ভিকে সাক্সেনাকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানালেন দিল্লি বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব। তিনি এ-ও জানালেন যে, ওই বাড়িতে থাকবেন না দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, দিল্লি ভোটের প্রচারে ওই ‘শিশমহল’ নিয়েই কেজরীর দিকে আঙুল তুলেছিল বিজেপি। অভিযোগ করেছিল, দুর্নীতির টাকায় বিলাসবহুল বাড়িটি তৈরি করিয়েছিলেন কেজরী।

দিল্লির উপরাজ্যপালকে দেওয়া চিঠিতে বীরেন্দ্র জানিয়েছেন, সরকারের আরও চারটি বাড়ির জমি নিয়ে নিজের বাসভবন তৈরি করিয়েছিলেন কেজরীওয়াল। সেগুলি এখন বিচ্ছিন্ন করে আগের অবস্থায় ফেরানো হোক। ৬ নম্বর ফ্ল্যাগস্টাফ রোডের মূল বাংলো কী কাজে ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নতুন সরকার।

২০১৫ থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ৬ নম্বর ফ্ল্যাগস্টাফ রোডের ওই বাংলোই ছিল কেজরীওয়ালের সরকারি বাসভবন। ২০২৪ সালে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে বাংলোটি ছেড়ে দেন কেজরী। রোহিণীর নতুন বিধায়ক বীরেন্দ্র জানিয়েছেন, আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে ওই বাংলো এখন তদন্তকারীদের নজরে। তাই সেখানে নতুন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না।

উপরাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে বীরেন্দ্র জানিয়েছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ৬ নম্বর ফ্ল্যাগস্টাফ রোডের ওই বাংলো আগে ১০ হাজার বর্গমিটারেরও কম জমি নিয়ে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কেজরীর আমলে ‘বেআইনি ভাবে’ বাংলোটির পুনর্নির্মাণ হয়েছে, যা ‘উদ্বেগজনক’ বলে লিখেছেন বীরেন্দ্র। চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনটিকে ৫০ হাজার বর্গমিটারের বিলাসবহুল আবাসনে পরিণত করা হয়েছে। কোন কোন জমি, বাড়ির ‘দখল’ নিয়ে কেজরী নিজের ‘শিশমহল’ তৈরি করিয়েছিলেন, তা-ও চিঠিতে লিখেছেন বীরেন্দ্র। তাঁর অভিযোগ, ৪৫ নম্বর এবং ৪৭ নম্বর রাজপুর রোডে আটটি টাইপ-৫ ফ্ল্যাট ছিল। সেগুলিকে নিজের বাংলোর সঙ্গে জুড়ে নিয়েছিলেন কেজরী। সেই সঙ্গে দু’টি সরকারি বাংলো (৮-এ, ৮-বি ফ্ল্যাগ স্টাফ রোড)-ও জুড়ে নিয়েছিলেন ৬ নম্বর ফ্ল্যাগস্টাফ রোডের বাংলোর সঙ্গে। এই বিষয়ে উপরাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন বীরেন্দ্র। সেই সঙ্গে তদন্তের দাবিও তুলেছেন। ওই বাংলো এবং সংলগ্ন জমি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার পরে তা সরকারি কাজে ব্যবহার করার প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.