তৃণমূলের শান্তি মিছিলের পরেই তেতে উঠল উত্তর দিনাজপুরের কানকি। জাতীয় সড়ক অবরোধের পর নির্বিচারে ভাঙচুর হল অন্তত ৫০টি গাড়ি। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল একটি সরকারি বাসে। বাদ গেল না অ্যাম্বুল্যান্সও। যদিও এই ঘটনার দায় নেয়নি তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, তাঁদের কর্মসূচি শেষ হয়ে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে হাঙ্গামা পাকায় বাইরে থেকে আসা লোকজন। ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সচিন মাক্কার জানান, বিস্তারিত খবর জেনে তবেই কথা বলবেন তিনি।
সোমবার বেলা দু’টো থেকে গোয়ালপোখর ও চাকুলিয়া থেকে মিছিল এসে জমায়ত হতে শুরু করে কানকিতে। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি। কানকিতে শুরু হয় জাতীয় সড়ক অবরোধ। আচমকাই শুরু হয়ে যায় ভাঙচুর। এই পথে আসা প্রায় ৫০টি গাড়িতে বিক্ষোভকারীরা যথেচ্ছ ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। একটি অ্যাম্বুল্যান্সেও বেপরোয়া ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি সরকারি বাসে।
বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি অভিযোগ করেন, “তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরাই শান্তি মিছিলের নামে এলাকায় অশান্তি করেছে। আগুন লাগিয়েছে বাসে। এমনকি অ্যাম্বল্যান্সও ভাঙচুর করেছে।” তবে এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালালবাবু।
তিনি বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল শেষ হয়ে গিয়েছিল। তারপরেই বেলা চারটে নাগাদ ওখানে হুলুস্থুল শুরু হয়। সরকারি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই মিছিলের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।”
এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ করেছেন এলাকার মানুষ। তবে উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারা গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।