গোধরা কাণ্ডে নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দিল নানাবতী-মেহতা কমিশন। ২০০২ সালে গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গায় মোদীকে ক্লিনচিট দেওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গোধরা কাণ্ডের প্রায় ১৭ বছর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দাঙ্গার সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নয় বলে ক্লিনচিটে উল্লেখ করেছে বিচারপতি জি.টি নানাবতী এবং অক্ষয় মেহতার কমিশন।
এর আগে ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেনের হাতে গোধরা কাণ্ডের চূড়ান্ত রিপোর্ট তুলে দেয় নানাবতী কমিশন। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে এই রিপোর্ট জমা দেয় কমিশন।
ওই বছর নির্ধারিত সময়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন বিচারপতি জি টি নানাবতী। পুরো রিপোর্ট তৈরি করতে মোট ২৪ বার সময়সীমা বাড়িয়েছিল কমিশন। রাজ্য সরকার রিপোর্টের চূড়ান্ত সময়সীমা দিয়েছিল ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর। কিন্তু সেই সময়ও পেরিয়ে যায়। পরে সুপ্রিম কোর্ট মামলার তদন্তকারী সংস্থা এবং আদালতকে এই মামলার রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেয়। অবশেষে এ দিন সেই রিপোর্ট জমা দেয় কমিশন।
এর আগে ২০০৮-এ এই কাণ্ডের আংশিক রিপোর্ট জমা দিয়েছিল কমিশন। সেই রিপোর্টে সবরমতী এক্সপ্রেসের এস-৬ কামরা পোড়ানোর পিছনে ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়েছিল।
২০০২-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে করসেবকদের পুড়িয়ে মারার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে যে হিংসা ছড়িয়েছিল, সেই ঘটনার তদন্তে ওই বছরের ৩ মার্চ দুই সদস্যের একটি কমিশন গঠন করে গুজরাত সরকার। কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জি টি নানাবতী এবং কে জি শাহকে। কিন্তু ২০০৮-এ বিচারপতি শাহের মৃত্যুর পর বিচারপতি নানাবতীর সঙ্গে কমিশনের দায়িত্ব সামলান গুজরাত হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অক্ষয় মেহতা।