দ্রুত বিচারের উপর গুরুত্ব! দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি চান, আইন যেন কারও প্রতি নিষ্ঠুর না হয়

দায়িত্ব গ্রহণের পরেই কোন কোন বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করা হবে, তা স্থির করে ফেলেছেন সুপ্রিম কোর্টের নতুন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। সাধারণ মানুষকে আরও দ্রুত বিচার দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করতে চান তিনি। একই সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়া যাতে কারও প্রতি নিষ্ঠুর না হয়, সেটিও নিশ্চিত করতে চাইছেন দেশের প্রধান বিচারপতি। সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিয়েছেন তিনি। পরে রাতের দিকে তাঁর একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, বিবৃতিতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনার বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে।

আগামী দিনে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে কেমন ভাবে তিনি দেখতে চান, তার একটি প্রতিফলন উঠে এসেছে বিবৃতিতে। সাধারণ মানুষ যাতে আরও সহজে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন এবং আদালতের বিবিধ প্রক্রিয়া বুঝতে পারেন, সে দিকে জোর দিতে চান সুপ্রিম কোর্টের নতুন প্রধান বিচারপতি। ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, ফৌজদারি মামলাগুলির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে আরও সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনার পর নির্যাতিতার জন্য দ্রুত বিচারের দাবি আরও জোরদার হয়েছে। ইতিমধ্যে, নিম্ন আদালতে (শিয়ালদহ আদালতে) বিচার পর্ব শুরু হয়েছে। সোমবার ছিল বিচারের প্রথম দিন। সোমবার বিকালেও জুনিয়র ডাক্তারেরা জানিয়েছেন, তাঁরা দ্রুত বিচার চাইছেন। শুধু দ্রুত বিচার নয়, ন্যায়বিচারও চাইছেন তাঁরা।

সোমবার প্রকাশিত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সময়ের ব্যবধান কমানোর জন্য একটি সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে কাজ করতে চান তিনি। পাশাপাশি বিচারের ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া যাতে সাধারণ নাগরিকদের প্রতি নিষ্ঠুর না হয়, সেটিও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিশ্চিত করতে চান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। আদালতের জটিল আইনি বিষয়গুলিকে সাধারণ মানুষের জন্য আরও সরলীকরণ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও মনে করছেন প্রধান বিচারপতি খন্না।

রবিবারই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিয়েছেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। অবসরের আগে প্রধান বিচারপতির পদের জন্য বিচারপতি খন্নার নামই সুপারিশ করেছিলেন তিনি। এটিই প্রচলিত রেওয়াজ। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি অবসর গ্রহণের আগে তাঁর পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নাম সুপারিশ করে যান। ওই সুপারিশের ভিত্তিতেই সাধারণত রাষ্ট্রপতি পরবর্তী প্রধান বিচারপতিকে নিযুক্ত করেন। সেই মতো সোমবার সুপ্রিম কোর্টের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি খন্না। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ থাকছে ১৮৩ দিন। অর্থাৎ, ছ’মাসের কিছু বেশি সময়। আগামী বছরের ১৩ মে অবসর নেবেন প্রধান বিচারপতি খন্না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.