আইন হাতে তুলে নিয়ে নয়, কড়া আইনের মাধ্যমেই ধর্ষকদের সাজা দেওয়া উচিত। এদিন হায়দরাবাদ এনকাউন্টার ইস্যুতে এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কলকাতার মেয়ো রোডে সংহতি দিবস পালন করেন তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানেই বক্তব্যের শুরুতে মমতা ধর্ষণের সাজা নিয়ে আরও কঠোর আইনের দাবি তোলেন। বলেন, দ্রুত বিচার করে চার্জশিত পেশ করে সাজা দেওয়া উচিত। একই সঙ্গে তিনি বলেন, হায়দরাবাদে যে এনকাউন্টার হয়েছে তাতে ধর্ষণে অভিযুক্তদের দেহ ময়নাতদন্তের পরে তিনি এনিয়ে মন্তব্য করবেন।
এদিন তিনি বলেন, দ্রুত বিচারের জন্য পশ্চিমবঙ্গে ৮৫টি ফাস্টট্র্যাক কোর্ট রয়েছে। বিচার ব্যবস্থায় গতি আনা দরকার। দ্রুত চার্জশিট পেশ করে আদালতে অভিযুক্তদের বিচার হওয়া দরকার। কোথাও আইন হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হবে না। আদালতের মাধ্যমেই দোষিদের সাজা দেওয়া উচিত।
সম্প্রতি মালদহে ধর্ষণের পরে নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্য তদন্তের নিরদ্শে দিয়েছ বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলনেত্রী এদিন হায়দরাবাদ ও উন্নাওয়ের ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেন। একই সঙ্গে মমতার প্রশ্ন, উন্নাওয়ের মেয়েটি সুরক্ষা পায়নি কেন? তিনি বলেন, আইন মেনে কাজ করতে হবে। এটা আইন নয়। পুলিশ আইন মেনে আদালতে পেশ করবে। সেখানেই হবে বিচার।
পুলিশের প্রতি কড়া নির্দেশ দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে দ্রুত চার্জশিট দিতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব। তিন থেকে ১০ দিনের মধ্যে। কাগজপত্র জোগাড় করতে হবে।’’ পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ উঠলেও সরকার যে কড়া হাতে তার মোকাবিলা করবে, সেই বার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এটা জরুরি অবস্থা হিসেবে দেখতে হবে। যে করবে না, তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে।’’